তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রথম চালান নিয়ে আসছে ‘এক্সিলেন্স’ নামের একটি জাহাজ। ১ লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস রয়েছে জাহাজটিতে। গতকাল কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে বিশেষায়িত জাহাজটি। ‘এক্সিলেন্স’র স্থানীয় এজেন্ট সীকম শিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালক জহুর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় জাহাজ আগে আসেনি। এটি সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত জাহাজ। আমেরিকান কোম্পানির জাহাজটি কাতার থেকে এলএনজি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। একই সঙ্গে এটি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। জাহাজটি উপকূল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। ১৫ বছর বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি জাহাজ ভাড়া পাবে। পরে এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে। এলএনজি বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসকে শীতলকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে তরলে (এলএনজি) পরিণত করা হয়। প্রয়োজনে ‘এক্সিলেন্স’ এলএনজিকে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ব্যবহার করে আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হবে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। এলএনজি গ্যাসের পাইপলাইন সীতাকুণ্ড পর্যন্ত নেওয়ার কাজ চলছে। এরই মধ্যে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইনের কমিশনিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আনোয়ারা থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে।