বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডিম পেড়েছে খানজাহান মাজার দীঘির কুমির

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ডিম পেড়েছে খানজাহান মাজার দীঘির কুমির

বাগেরহাট শহরতলির হজরত খানজাহান আলী (রহ.)-এর মাজারের দীঘিতে মিঠাপানির মা কুমির আবারও ডিম পেড়েছে। কুমিরটি ৬০ থেকে ৭০টি ডিম পেড়েছে। সেটি এখন বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বৈশাখের প্রচণ্ড রোদের মধ্যে খানজাহানের খনন করা দীঘির উত্তর পাড়ে মা কুমিরটি মাটি আঁকড়ে আছে। এটি সেখানে গর্ত খুঁড়ে ডিম ঢেকে রেখেছে। গত শনি ও রবিবার ডিম পাড়ার পর এখন বাচ্চা ফোটানোর জন্য কুমিরটি ডিমে ‘তা’ দিচ্ছে। মানুষ কাছে গেলেই তেড়ে আসছে কুমির। তাই ওই স্থানটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছেন মাজারের খাদেমরা। তবে কুমিরকে দেখার জন্য দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকছে। মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির জানান, শনিবার রাতে ও রবিবার মা কুমিরটি ৩৬০ একর আয়তনের দৈর্ঘ-প্রস্থে প্রায় সমান এই দীঘির উত্তর পাড়ে গর্ত খুঁড়ে ৬০-৭০টি ডিম পেড়েছে। ওই ডিম ধুলামাটি দিয়ে ঢেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য এখন তা দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে খুব অল্প সময়ের জন্য মা কুমিরটি হঠাৎ দীঘিতে নামলেও তত্ক্ষণাৎ আবার ছুটে আসছে ডিমে তা দিতে। আগামী আগস্ট পর্যন্ত কুমিরটি ডিমে তা দেওয়ার পর বাচ্চা জন্মাবে— এমন প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এই দীঘিতে তিনি কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড় নামে দুটি কুমির লালন-পালন করতেন। ওই জুটির কোনো বংশধর বেঁচে নেই। এখন ভারত সরকারের দেওয়া মিঠাপানির এ কুমিরটিই দীঘির শেষ সম্বল। কয়েক বছর ধরে দীঘির এ কুমিরটি ডিম পাড়লেও তাতে বাচ্চা ফুটছে না। কুমিরের বংশ বৃদ্ধি না হলে দীঘিটি তার ৬৫০ বছরের ঐতিহ্য হারাবে। তাই দীঘিতে কুমিরের বংশ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে তিনি জোর দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর