বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

পবিত্র শবেবরাত পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাপমোচন বা গুনামুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনাসহ নিজের, পরিবারের, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ১৪ শাবান দিবাগত রাতে দেশব্যাপী পালিত হয়েছে পবিত্র শবেবরাত। হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত এ রাতটি পবিত্র শবেবরাত হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার, কবর জিয়ারতসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ মসজিদগুলোয় বিকাল থেকে কোরআন তিলাওয়াত এবং বাদ মাগরিব শুরু হয় ইমাম সাহেবদের বয়ান। এরপর রাতভর বিষয়ভিত্তিক ওয়াজ, তাহাজ্জুদের নামাজ, নফল নামাজ ও মিলাদ শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। এ সময় অশ্রুসিক্ত দুই চোখে মুসল্লিদের আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করতে দেখা যায়। বাসাবাড়িতেও নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ দিনদার মুসলমানরা কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মশগুল ছিলেন। রাতভর রাজধানীর মসজিদগুলোয় ছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড়। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাতভর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি ছিল রাজপথে। বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের তল্লাশি করা হয়। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ডালা সাজিয়ে অনেককে হালুয়া-রুটি বিতরণ করতে দেখা যায়। রাতের প্রথম ভাগে অনেকে রাজধানীর আজিমপুর, জুরাইনসহ বিভিন্ন কবরস্থানে গিয়ে পিতা-মাতা-আত্মীয়-পরিজনের কবর জিয়ারত করেন। এ ছাড়া গতকাল অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান নফল রোজা পালন করেন। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশুপল্লীতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে গতকাল ছিল সরকারি ছুটি। পবিত্র শবেবরাত সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে আতশবাজি, পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে পটকার আওয়াজ শোনা যায়। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ জাতীয় দৈনিকগুলোয় মঙ্গলবার বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর