চমৎকার ডিজাইনের সব ফার্নিচার নিয়ে রাজধানীর কুড়িলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে মেলা। মেলার দ্বিতীয় দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে অনেক। মেলায় বেশির ভাগ মানুষের আগ্রহ দেখা গেল স্টিল আসবাবের প্রতি। তুলনামূলক কম দামে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় একটি পরিবারের সব ধরনের আসবাব কেনা যাচ্ছে। এর মধ্যে অ্যাথেনাসের তৈরি একটি ডাইনিং টেবিলের দাম ১৬ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর বাইরে নানা ডিজাইন, কারুকাজ সমৃদ্ধ সব ধরনের আসবাবের সমাহার এই মেলায় দেশীয় পণ্যের এক সুন্দর সমাহার। দেশীয় কাঠে তৈরি বিশ্বমানের সব ডিজাইন নিয়ে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের আসবাব। পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ ফার্নিচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডেকর (বিএফআইডি) এক্সপো শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এই মেলা চলবে চার দিন। দ্বিতীয় দিনে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আসবাব। শুধু নিজের ঘর নয়, অফিস কক্ষ সাজানোর আসবাবের সমাহার বসেছে এই মেলায়। কাঠের আসবাবের সঙ্গে স্টেইনলেস স্টিলের আসবাব রয়েছে। এসকেবি নিয়ে এসেছে এসব পণ্য। এসকেবির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ইজি চেয়ার সাড়ে ৫ হাজার ও হ্যাঙ্গার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯৫০ টাকায়। মেডিকেল ট্রলি ২০ হাজার, সোফা ৩০ হাজার ও ওয়ারড্রব ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। আর ড্রেসিং টেবিল ৯ হাজার, আলমারি ২৮ হাজার, ডাইনিং টেবিল ২০ হাজার, বেড ৯ হাজার ও ফোল্ডিং চেয়ার দেড় হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ঘর সাজানোর আসবাবের সঙ্গে দরজার নিরাপত্তার বিশেষ তালা, রং, টাইলস, কিচেন ইন্সট্রুমেন্টসহ রয়েছে নানা ধরনের পণ্য। প্রতিটি স্টলে খাট, চেয়ার ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন সোফা, ইজি চেয়ার, ডাইনিং টেবিলসহ গৃহসাজের সব ধরনের আসবাব। গৃহের সাজসজ্জার জন্য দেয়াল রং, টাইলস সরঞ্জাম। মেলায় অংশ নিয়েছে ব্রাদার্স, রিগ্যাল, নাভানা, হাতিল, অ্যাথেনাসসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। অ্যাথেনাসের তৈরি একটি ডাইনিং টেবিলের দাম ১৬ লাখ টাকা। আছে রিগ্যালের তৈরি দৃষ্টিনন্দন খাট ও সোফা। একটি খাটের দাম ৬৫ হাজার টাকা। শৌখিন মানুষের জন্য ইজি চেয়ারের দাম ১২ হাজার টাকা। বিএফআইডি এক্সপো-২০১৮ এ মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ফার্নিচার ও ৯টি হোম ফার্নিশিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত চলবে মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে অর্ডার দিলে ঠিকানা অনুযায়ী পৌঁছে দেয় উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। ফলে ক্রেতাদের কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় ফার্নিচার মেলার প্রধান উদ্দেশ্য দেশীয় ফার্নিচারের প্রচার এবং দেশি ও বিদেশি ক্রেতাদের ফার্নিচার পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে অবহিত করা। প্রতিবছর দেশের ফার্নিচার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই খাতকে আরও বেশি শক্তিশালী করার জন্য এই মেলার আয়োজন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন।