বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ নিয়ে শঙ্কায় চট্টগ্রামবাসী

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বিদ্যুৎ নিয়ে শঙ্কায় চট্টগ্রামবাসী

রমজান মাসে ইফতারি, তারাবিহ ও সাহরির সময় গ্রাহকের চাহিদা মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে চট্টগ্রামে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতীতের ধারাবাহিকতায় এই রমজানেও বিদ্যুতের ভোগান্তিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম বিভাগ বলছে, আসন্ন রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে সঞ্চালন লাইনগুলো, চালু করা হচ্ছে রাউজানের একটি ইউনিট। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের অধীনে থাকা প্রতিটি বিভাগে একটি করে কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়। জানা যায়, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫৬১ মেগাওয়াট সক্ষমতার সরকারি-বেসরকারি ১৫টি বিদ্যুেকন্দ্র আছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসনির্ভর তিনটি বিদ্যুেকন্দ্র বন্ধ। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিট বন্ধ। তাছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে বন্ধ আছে শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। ফলে চট্টগ্রামে চাহিদার চেয়ে প্রতিদিন ২৫০-৪৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের রমজানেও চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি ছিল। গত বছরের প্রথম রমজানে চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১১৭২ মেগাওয়াট, উৎপাদিত হয় ৯১৭ মেগাওয়াট। দ্বিতীয় দিনে ১১৯০ মেগাওয়াট  চাহিদার মধ্যে উৎপাদন হয় ৯২৪ মেগাওয়াট, তৃতীয় দিনে ৪৫৫ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল চট্টগ্রামে। ফলে গত রমজানের ইফতার, তারাবিহ্ ও সাহরির সময় লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল গ্রাহকদের। পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর কুমার সেন বলেন, ‘রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।  অতীতের তুলনায় এ বছর লোডশেডিং তুলনামূলক কম হবে।’

সর্বশেষ খবর