বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

১৭ মে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস

——— ওমর ফারুক চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ মে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ১৭ মে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই এদিন বাঙালির অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের নবজাগরণের দিন। যুবলীগ মনে করে এদিনটি জনগণের ক্ষমতায়নের দিন। কারণ, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাই বিশ্বে একমাত্র নেতা যার একটি রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে। ২০১২ সালে তার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এটাই আজ বিশ্বশান্তির একমাত্র দলিল, একমাত্র পথনির্দেশিকা। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয় জনগণের ক্ষমতায়ন দর্শনের আলোকেই।

 ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি যখন মাতৃভূমির পবিত্র মাটি স্পর্শ করেন তখন এই দেশ ছিল গণতন্ত্রহীন। জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসনে এ দেশের মানুষ ছিল অবরুদ্ধ, সংবিধান ছিল বন্দী, মানুষের অধিকার ছিল বুটের তলায় পিষ্ট। ’৮১-এর এই দিন থেকে শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্য নিয়েই কাজ করেছেন তা হলো জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণের অধিকার। তিনি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। অর্থনৈতিক শৃঙ্খল থেকে জাতির পিতার বাংলাদেশকে মুক্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়। শেখ হাসিনা সাগর জয় করেছেন। মহাকাশে উড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা। বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায়। শুধু বাংলাদেশের মানুষের নেতা নন তিনি। তিনি আজ বিশ্বমানবতার কণ্ঠস্বর। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছন তিনি ‘মানবতার নেতা।’ সাগরের চেয়েও বড় তার হৃদয়। মহাকাশের চেয়ে উন্মুক্ত তার উদারতা। তিনি জনগণের জন্য উৎসর্গীকৃত প্রাণ এক ক্ষণজন্মা মানুষ। যার চিন্তা, চেতনায় শুধু জনগণের কল্যাণ। তিনিই তো জনগণের ক্ষমতায়নের রূপকার। এ কারণেই আমরা আজকের দিনটি পালন করছি ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ দিবস হিসেবে। ১৭ মে শেখ হাসিনা যদি প্রিয় স্বদেশে না ফিরতেন তাহলে হয়তো বাঙালির মুক্তি হতো না, বিশ্বমানবতা কাঁদত।

সর্বশেষ খবর