শিরোনাম
শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিলেটে রাগীব আলীর বিচার শুরু

২ কোটি ৭৯ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। গতকাল দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী এ অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জানান, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে ২ লাখ ১৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন নাবিদা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান গুলজার। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘নাবিদা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের বেশির ভাগ পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। নাবিদার অনুকূলে ২০০৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাউথইস্ট ব্যাংকের মঞ্জুরিপত্রমূলে ৩ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঋণের মধ্যে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে ফাউন্ডেশন। ২০০৮ সালের ৫ জুলাই  সাউথইস্ট ব্যাংকে বন্ধকী সম্পত্তির নিলাম বিজ্ঞপ্তি “সিলেটের ডাক” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। রাগীব আলীর সঙ্গে বাদীর পূর্বপরিচিতি থাকায় ও তিনি (রাগীব) সাউথইস্ট ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন রাগীব আলী বলেন, তার সঙ্গে যদি যোগাযোগ করে লন্ডনে লেনদেন শেষ না করা হয় তাহলে সম্পত্তি নিলাম হয়ে যাবে। বাদী অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার (রাগীব) সঙ্গে যোগাযোগ করে লেনদেন শেষ করা হবে। একপর্যায়ে রাগীব আলীর সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের সমঝোতা হলে তার (রাগীব) লন্ডনস্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ০০১৫১০৪ শর্ট কোড ৩০৯০৫৯ লয়েডস টি এস বি ব্যাংকে ফাউন্ডেশনের শেয়ারহোল্ডার তোফায়েল আলম তুহিন ৫ হাজার পাউন্ডের একটি চেক প্রদান করেন। পরে রাগীব আলী চেকে টাকা না নিয়ে নগদে দিতে বলেন। রাগীব আলীর কথামতো আখলাকুর রহমান ২০০৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ২ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড নগদ প্রদান করেন। ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করা হলে জানা যায়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন রাগীব আলী।’

সর্বশেষ খবর