রবিবার, ২০ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘বৃদ্ধ’ ইঞ্জিনে ধুঁকছে রেল

দেড় মাসে ৪৪ বার বিকল, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিএমইকে চিঠি

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

‘বৃদ্ধ’ ইঞ্জিনে ধুঁকছে রেল

পূর্বাঞ্চল রেলপথে বার বার পুরনো ইঞ্জিন বিকলের কারণে প্রতিনিয়ত বিঘ্নিত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত দেড় মাসে আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনসহ বিভিন্ন ট্রেনের অন্তত ৪৪ বার ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। এতে করে ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইঞ্জিন বিকলের কারণে ১ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব হচ্ছে ট্রেন চলাচল। তবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরীকরণসহ এসব ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) বরাবর একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১০টি ইঞ্জিন আনতে চুক্তি সই করেছে রেলওয়ে প্রশাসন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাসে (১ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত) পূর্বাঞ্চলে আন্তঃনগর, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ১৪ বার, মেইল ট্রেনে ২৪ বার, লোকাল ও অন্যান্য ট্রেন ৩ বার এবং গুডস ট্রেনে ৩ বার ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটে। এসব কারণে অস্বাভাবিক বিলম্বে ট্রেন চলাচল করছে। এ ছাড়া আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল ও লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে এমন আপ-ডাউন ট্রেনগুলোর মধ্যে সোনার বাংলা, বিজয় এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ, অগ্নিবীণা, যমুনা এক্সপ্রেস, কাকলী এক্সপ্রেস, এগারো সিন্ধু, কিশোরগঞ্জ ট্রেন, মেইল ট্রেনের মধ্যে নাজিরহাট কমিউটার, ময়মনসিংহ ট্রেন, তিতাস ট্রেন অন্যতম।

রেলওয়ে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকোমোটিভ সংকটে ভুগছে। চলাচলরত অধিকাংশ ইঞ্জিনই মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনগুলো চলছে নানা ঝুঁকির মধ্যে। প্রতিনিয়ত ইঞ্জিন বিকল ও লোকোলসসহ নানাবিধ ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচলেও বিঘ্নিত হচ্ছে। তা ছাড়া লোকোমোটিভ ঠেকাতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে আসছে ১০টি মিটার গেজ ইঞ্জিন। আগামী দুই বছরের মধ্যেই এ ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ  করা হবে। গত বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক  এমপির উপস্থিতিতেই এসব চুক্তি  স্বাক্ষর হয়েছে। ১০টি ইঞ্জিনের দাম পড়েছে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৬০ টাকা। নতুন ইঞ্জিন আনার বিষয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. শামসুজ্জামান বলেন, যেসব ইঞ্জিন আনার জন্য চুক্তি করা হয়েছে সেগুলো এখনকার ইঞ্জিনের চেয়ে অধিক উচ্চ মতাসম্পন্ন ইঞ্জিন। যেসব ইঞ্জিন আসবে, সেগুলো দিয়ে ট্রেনে আরও বেশি লোড নেওয়া যাবে। পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ইঞ্জিন বিকলের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। হঠাৎ ইঞ্জিন ফেল হতে পারে। তা ছাড়া এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি আমরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর