বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাজশাহী সিটি নির্বাচন

নির্বাচনী প্রচারণায় লিটন-বুলবুল

ইফতার ও আগাম ঈদ শুভেচ্ছায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্বাচনী প্রচারণায় লিটন-বুলবুল

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)সহ তিন সিটিতে ভোট ৩০ জুলাই। ফলে রাজশাহী মহানগরে শুরু হয়ে গেছে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন দলের সবুজ সংকেত পাওয়ায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নৌকায় ভোট চেয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়েছেন তিনি। বসে নেই বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও। নিজেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দাবি করে তিনিও প্রচারে নেমেছেন। পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার না টানালেও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গণসংযোগের কাজ করে যাচ্ছেন। ইফতার আর ঈদের আগাম শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থী। প্রতিদিনই তারা অংশ নিচ্ছেন একাধিক ইফতার আয়োজনে। সেখানে তারা দলীয় প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

উচ্চ আদালতের রায়ে প্রায় ২২ মাস পর রাসিকের মেয়র পদ ফিরে পান মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এরপর থেকে তিনি নানা প্রতিকূল পরিবেশে চেয়ার সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। তবে কৌশলে সদস্য সংগ্রহ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নগরবাসীর মাঝে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজের উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি প্রচার করছেন। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় কোনো ধরনের চাপে নেই খায়রুজ্জামান লিটন। নিয়মিত তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। ২০০৮ সালে রাসিকের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৩ সালের ১৫ জুনের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।  লিটনের  পরাজয়ের পেছনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা, হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচার এবং জামায়াতে ইসলামীর টাকায় বিএনপি প্রার্থীর ভোট কেনাকে সে সময় দায়ী করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অপপ্রচার করেছিল। দলীয় নেতা-কর্মীরাও নিস্ক্রিয় ছিল। তারা ভেবেছিল, এত উন্নয়ন করেছি যে এমনিতেই বিজয়ী হবো। আমার পরাজয়ের পর পরই ভোটাররা উপলব্ধি করেন, তারা আমাকে ভোট না দিয়ে ভুল করেছেন। তাই দলমতের বাইরে গিয়ে অনেকেই দুঃখ করে বলেছেন, রাজশাহী পিছিয়ে গেছে। রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাকে আরও একবার সুযোগ দিতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকে যিনি (খায়রুজ্জামান লিটন) নিজেকে রাসিকের উন্নয়নের রূপকার বলছেন, তার ধারণা ভুল। যেসব মানুষ মনে করছেন, সরকারি দল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তাদের ধারণাও ভুল। আমি নগরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলাম। এরপরও প্রত্যাশা অনুযায়ী আমি রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।

সর্বশেষ খবর