বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঈদবাজার চট্টগ্রাম

এক আঙিনায় ঈদের সব অনুষঙ্গ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

এক আঙিনায় ঈদের সব অনুষঙ্গ

চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজার, বয়স এখন ১২৪। এ বাজারে মেলে ব্র্যান্ডের দামি জামা থেকে জুতা, প্যান্ট থেকে লুঙ্গি, সুই থেকে সুতা, দা-বঁটি, কসমেটিকস। কী নেই এ বাজারে! ঈদের সব অনুষঙ্গ রয়েছে এই বাজারে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মানুষের সামগ্রিক বিকিকিনির আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক বাজারটি। বৃহত্তম এ বাজারের আছে বহুমুখী বৈশিষ্ট্য। কেবল দেশ নয়, বিদেশেও যায় এই বাজারের পণ্য। উপরন্তু এক আঙিনায় সম্পন্ন করা যায় পরিপূর্ণ ঈদবাজার। নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে  শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ভরসা  ঐতিহ্যবাহী এ বাণিজ্য কেন্দ্র। রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বিশাল আয়তনের এই বাজারে আছে ছোট-বড় প্রায় ২৫০টি মার্কেট। মার্কেটে আছে প্রায় ১০ হাজার দোকান। এখানে কর্মরত প্রায় ৩০ হাজার কর্মচারী। বাজারের প্রায় পাঁচ হাজার দোকানে ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন বিকিকিনি হয় ৫০ থেকে ৮০ কোটি টাকার। এ বাজারে একাধারে দশটি মুখ দিয়ে প্রবেশ করা যায়। এবার ঈদে ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে নেওয়া নানা উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে-বাজারের প্রত্যেক গলির উপর ত্রিপলের ব্যবস্থা, নিরাপত্তার জন্য দুই শিফটে সিএমপির ১৪ জন পুলিশ, আছে নিজস্ব উদ্যোগে ২০ জন কমিউনিটি পুলিশ, আছে প্রধান দুই প্রবেশমুখ জুবিলী রোড ও স্টেশন রোডে ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থা। সঙ্গে সার্বক্ষণিক আলো দিচ্ছে জেনারেটর। রয়েছে সুবিস্তৃত পার্কিং ব্যবস্থা। রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী মার্কেট রেয়াজুদ্দিন বাজার। এখানে ঈদের সব প্রকারের পণ্য সামগ্রির সমাহার রয়েছে। এটি এ বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ার কারণে এখানে সব প্রান্তের মানুষদের যাতায়াত সুবিধা আছে।

 পক্ষান্তরে এখানকার মার্কেটের মালিক-কর্মচারীদের বিশেষভাবে বলা আছে, তারা যাতে কোনো ক্রেতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার কিংবা পণ্য বিক্রিতে অতিরিক্ত মুনাফা না করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি নগরীর সব মার্কেটে দৈনিক যত ক্রেতা আসেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারে এককভাবে সে সংখ্যক ক্রেতা আসেন। এই হিসাবে দৈনিক ৫০ থেকে ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা হয় মার্কেটে। এটি এই বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।  

এ বাজারে আছে রেডিমেড ও সেলাই করা কাপড়। বর্ণিল পোশাকের মধ্যে আছে- শাড়ি, থ্রি-পিচ, ছোটদের পোশাক, শার্ট, প্যান্ট, জুতা, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, প্রসাধনী সামগ্রী, নানারকম আসবাবপত্র, সুঁই-সুতা, ঝাড়ু, জুয়েলারি পণ্য। ছোট থেকে বড়দের পোশাক, তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা- সব বয়সের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে, নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন পোশাকের কোনো কমতি নেই এখানে। ক্রেতাকে এই বাজার থেকে কোনো পণ্যের জন্য খালি হাতে ফিরতে হয় না। এটিই বাজারের বৈশিষ্ট্য। এবার ঈদ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় ও দেশি পাথরের কাজ করা শাড়ি। বাহারি কাতান শাড়ির সঙ্গে রূপ ছড়াচ্ছে লেহেঙ্গা, রাজশাহী সিল্ক, জামদানি শাড়ি। দোকানের সামনে শোভা পাচ্ছে নায়িকাদের নামে বর্ণিল ডিজাইনের জামা।  

সর্বশেষ খবর