বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্বস্তির বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জৈষ্ঠ্যের শেষ সপ্তাহের তীব্র গরমে নাকল নগরজীবন। দাবদাহ থেকে মুক্তি দিতে স্বস্তির বৃষ্টি কাঙ্ক্ষিত হলেও জলজট আর যানজটে তা পরিণত হয়েছে দুর্ভোগে। এতে শেষ সময়ে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া রাজধানীবাসী ভোগ করে চরম দুর্ভোগ।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাজধানীতে ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ছাড়াও খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম, মোংলাতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে সবেচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানা যায়, আগামী দুই দিন বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বৃষ্টির পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতে রাজধানীর কাফরুল, মিরপুর, পল্লবী, খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মতিঝিল, রাজারবাগ, কমলাপুর, আরামবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কাঁটাবন, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মগবাজার, সিদ্ধেশ্বরী, পল্টন, পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার, বংশাল, সূত্রাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে রাস্তা পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। ঈদের শেষ সময়ে কেনাকাটায় রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ। বৃষ্টির মধ্যে হাতে বাহারি পণ্যের ব্যাগ নিয়ে সিএনজি চালকের সঙ্গে দর কষাকষি করতে দেখা যায় তাদের।

রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা শপিং মলে পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন কবির হোসেন। তিনি বলেন, ছুটি হয়ে যাওয়ায় আজই ঈদের কেনাকাটার শেষ পর্ব ছিল। কেনাকাটা করে এখন বাড়ি ফিরতে গিয়ে যানবাহন পাচ্ছি না। সিএনজি চালকরা বৃষ্টির কারণে দ্বিগুণ ভাড়া চাইছে। নিউমার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে মিরপুরে বাসায় ফেরার পথে বিপাকে পড়েন খাদিজা বেগম। দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠার চেষ্টা করলেও ভিড়ের কারণে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, রোজা থেকে গরমে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে স্বস্তি মিললেও মিরপুর এলাকায় পানি জমে জলজট তৈরি হওয়ায় সিএনজি চালকরা ভাড়া কয়েকগুণ বেশি চাইছেন। তাই বৃষ্টিতে নতুন কেনা পোশাক ভিজে গেলেও যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর