শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
পর্যটক বরণের অপেক্ষায়

পর্যটকদের নতুন দিগন্ত চরফ্যাশন

এম আবু সিদ্দিক, চরফ্যাশন (ভোলা)

উৎসবের এ আনন্দে আপনি যেতে চান ভোলার স্বপ্নপূরী খ্যাত চরফ্যাশনে, যেখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সু-উচ্চ টাওয়ার, ডিজিটাল শেখ রাসেল শিশু পার্ক, কুকরির সমুদ্র সৈকত। এ ছাড়া আছে ঢালচরের তারুয়া বীচ ও বরিশালের একমাত্র বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল শহরের কোলাহল থেকে দূরে চর কুকরি-মুকরি লোকালয়ে নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণের মাঝে প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্য পেতে পর্যটকদের ভ্রমণে নতুন দিগন্তে অপার সম্ভাবনায় হাতছানি দিচ্ছে। শেষ মুহূর্তে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ভোলার কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ খ্যাত স্বপ্নপূরী চরফ্যাশন এলাকায় ঈদের ছুটিতে আপনি সপরিবারে ঘুরে যেতে পারেন। দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন এখন আর অবহেলিত জনপদ নয়। এককালের অবহেলিত জনপথ ভোলার চরফ্যাশনে এই সরকারের আমলেই লেগেছে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া।

শেখ রাসেল শিশু পার্ক : স্বপ্নপূরী চরফ্যাশন পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ফ্যাশন স্কয়ারের পাশে দুই একর জমিতে নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক। শনিবার সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব নতুন এই ডিজিটাল শেখ রাসেল শিশু বিনোদন পার্কের শুভ উদ্বোধন করবেন। বরিশাল বিভাগের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ৩০ রাইড নিয়ে এই শিশু পার্কটি শুভ সূচনা আরও ছয় মাস আগে, যা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। এই শিশু পার্কে রয়েছে প্রাটোফার, শাটল ট্রেন, হানিসুইং, মেরিগ্রাউন্ড, ওয়ান্টার হুইল, বড় পর্দায় ৯ ডি গেইমস ও হাতি, জিরাফ, ঘোড়া, বানর, ডায়নোসর, জিরাপসহ অসংখ্য প্রাণীর আর্টিফিশিয়াল শিল্প কলা।

দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব টাওয়ার : বিশ্বখ্যাত আইফেল টাওয়ারের আদলে ভোলার চরফ্যাশনে ১৮ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব টাওয়ার। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘জ্যাকব টাওয়ারের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বে পর্যটকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জ্যাকব টাওয়ারের সু-উচ্চ চূড়ায় দাঁড়ালেই পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদীর শান্ত জলধারা, পূর্বে মেঘনা নদীর ঢেউ, দক্ষিণে চর কুকরি-মুকরিসহ বঙ্গোপসাগরের ঘেঁষে অবস্থিত পর্যটন দ্বীপ কুকরি-মুকরি, উত্তরে ভোলার বিরাট অংশ দেখা যাবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ এই টাওয়ারটি ৭৫ ফুট মাটির নিচ থেকে ৭০টি পাথর ঢালাই পাইলিং ফাউন্ডেশনের ওপর নির্মিত ২৩০ ফুট উচ্চতায় সু-উচ্চ সম্পূর্ণ স্টিলের স্ট্যাকচারে তৈরি এই টাওয়ার। ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় এ টাওয়ারের চূড়ায় ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি ১৬ জন ধারণ ক্ষমতার রয়েছে অত্যাধুনিক ক্যাপসুল লিফট। ১০০০ বর্গফুটের ১৭তম তলায় রাখা হয়েছে পর্যটকদের বিনোদনের নানা ব্যবস্থা। একসঙ্গে ৫০০ পর্যটক সমবেত হতে পারবে। পর্যটকরা বাইনোকুলার বাইসকোপের মাধ্যমে আশপাশের ১০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত দূরের দৃশ্যাবলি দেখতে পাবে।

বর্ণিল আলোর ফ্যাশন স্কয়ার

শহরের ফ্যাশন স্কয়ার ইতিমধ্যেই সবার কাছে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছে। গতকাল ফ্যাশন স্কয়ারে নান্দনিক এই পানির ফোয়ারা উপমন্ত্রী জ্যাকব আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো বর্ণিল আলোর জমকালো ফোয়ারা। টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই পানির ফোয়ারায় মিউজিকের তালে পানির নৃত্য দেখে বিমোহিত হবে পর্যটকরা।

সর্বশেষ খবর