ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের ধাওয়ায় পিকআপ চাপায় রিকশা আরোহী দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মহাসড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ রিকশা চালক ও এলাকাবাসী। তাত্ক্ষণিক নিহত দুই নারীর নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গতকাল দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা পালকি সিনেমা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশ ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আবুল হোসেন (৩৮) ও কাউসার হোসেন (২২) নামে দুই অবরোধকারীকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, একজন মন্ত্রী আসছেন শুনে মহাসড়ক যানজটমুক্ত এবং থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ রাখতে কঠোর হয়ে ডিউটি করছিল হাইওয়ে পুলিশ। দুপুরে চান্দিনা বাসস্টেশন থেকে দুই নারী যাত্রীকে নিয়ে হাঁড়িখোলা যাচ্ছিল ব্যাটারিচালিত একটি রিকশা। চান্দিনা পালকি সিনেমা হল সংলগ্ন স্থানে পৌঁছার পর হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্য রিকশাটিকে ধাওয়া করে। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি মালভর্তি পিকআপের সঙ্গে ধাক্কায় পিকআপ ও রিকশা উল্টে ঘটনাস্থলে রিকশা যাত্রী নারী (৪৫) নিহত হন। অপর নারী যাত্রীকে (৩০) গুরুতর অবস্থায় চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় রিকশা চালক, পিকআপ চালক ও তার ভাই গুরুতর আহত হন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে দেবিদ্বার উপজেলার আসাদনগর গ্রামের বিধান চন্দ্র দাসের ছেলে অতিন চন্দ্র দাসের (২২) অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাও পুলিশকে ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়।
