শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ক্লিনার থেকে চিকিৎসক অতঃপর...

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ক্লিনার (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) আজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে চিকিৎসক সেজে জখম রোগীদের ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি হাসপাতালে সরকারি ওষুধের সরবরাহ থাকলেও শর্ট স্লিপে বাইরে থেকে উচ্চমূল্যে ওষুধ কিনতে বাধ্য করতেন তিনি। পরে সেসব ওষুধ কৌশলে বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রি করা হতো। গতকাল এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আজাহারকে দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনকে চিঠি দিয়েছেন খুমেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, স্বাস্থ্য খাতের কেওআইকেএ প্রকল্পের আওতায় ওই ক্লিনারকে খুমেক হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ১৯ জুন রাতে ক্লিনার আজাহারুল ইসলাম হাসপাতালের একজন রোগীর ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়ার জন্য শর্ট স্লিপে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে বলেন। যদিও হাসপাতালে ওই ধরনের ওষুধের সরবরাহ রয়েছে। রোগীর স্বজনরা ওই ওষুধ কিনে আনার পর ক্লিনার তা ক্ষতস্থানে ব্যবহার না করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানালে ওই ক্লিনারকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে প্রায়ই রাতের বেলায় দায়িত্বরত চিকিৎসক না থাকায় ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনারই চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করে থাকেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর