শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

হিজড়াদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, হিজড়ারা যাতে রাস্তাঘাটে জোর করে অর্থ আদায় বা কারও বাসাবাড়িতে গিয়ে উৎপাত না করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি নূরজাহান বেগম ও কাজী রোজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী জবাব দেন। নূরজাহান বেগম জানতে চান, রাস্তায়, যানবাহনে হিজড়ারা জোর করে মানুষের কাছে টাকা দাবি করে এবং মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে। তাদের এই দৌরাত্ম্য বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? কাজী রোজী জানতে চেয়ে বলেন, ‘হিজড়ারা রাস্তায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা দাবি করে। বিশেষ করে কারও সন্তান জন্মালে তারা সেখানে হানা দেয় এবং চাঁদা চায়। কেউ দিতে না পারলে তারা নানা ধরনের হুমকি দেয়। একবার রাস্তায় আমি এক হিজড়াকে টাকা দিতে না চাইলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সে। খারাপ ভাষায় কথা বলে এবং বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করে।’ জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রাস্তায় হিজড়ারা টাকা দাবি করে এটা আমার জানা নেই। তবে হিজড়ারাও মানুষ। তাদের সহযোগিতার জন্য আমাদের সবার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব, যাতে তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব, এ ধরনের ঘটনা থেকে হিজড়াদের বিরত রাখার জন্য যাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজে যেসব অসহায় মানুষ আছে তাদের সাহায্যের জন্য, পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। হিজড়াদের জন্যও কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে। হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে দেখতে হবে, নিজ এলাকায় কোনো হিজড়া পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকলে তাদের কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, হিজড়াদের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তাদের কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হলে আবার অনেকে চলে যায়। তারা যাতে চলে না যায় সে জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।

স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ব্যয় ৭৫৯ কোটি টাকা : সরকারি দলের আনোয়ারুল আবেদিন খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ৭৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ৫০০ টাকা হারে ভাতা দিতে এ টাকা ব্যয় হয়। চলতি অর্থবছর এ কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর