শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন জমেছিল বর্ষা বন্দনায়। কবিতা, গান আর নৃত্যানুষ্ঠান দিয়ে সাজানো হয়েছিল গতকালের এ অনুষ্ঠানমালা।
সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিসৃষ্টি আয়োজিত ‘বর্ষামঙ্গল ১৪২৫’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে ‘মেঘের গায়ে নূপুর পায়ে নাচে বরষা’ গানের সঙ্গে অনিক বোসের পরিচালনায় নাচের দল স্পন্দনের দলীয় নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে আয়োজনের সূচনা ঘটে। এরপর বর্ষাকথনে অংশ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। প্রতিসৃষ্টির সাবেক সভাপতি প্রয়াত শুভ রহমানের স্মৃতিচারণ করেন তার সহধর্মিনী ফজিলাতুন নেছা। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার সালাম। আলোচনা পরবর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, গান ও আবৃত্তিতে পুরো মিলনায়তনে ফুটে ওঠে বর্ষার নান্দনিকতা।
এ পর্বের শুরুতেই কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কবিতা অবলম্বনে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন কাঁদামাটি। এরপর সম্মেলক কণ্ঠে ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’ গানটি পরিবেশন করেন উদয়নের শিল্পীরা। অনন্যা ওয়াফি রহমানের পরিচালনায় ‘টুপটাপ টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নাচের দল নৃত্যমঞ্চ, ‘কলকল ছলছল নদী করে টলমল’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে কবিগুরুর ‘বাদলও দিনেরও প্রথম কদম ফুল’ গেয়ে শোনান মহাদেব সাহা ও আশিকুর রহমানের কণ্ঠে গীত হয় রবীন্দ্রনাথের ‘ওই মালতী লতা দোলে’। এতে একক আবৃত্তি করেন মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, শাহরিয়ার সালাম, নায়লা তারান্নুম কাকলি, বেলায়েত হোসেন। বর্ষা বরণের এই সন্ধ্যায় লোকসংগীত পরিবেশন করেন শান্তা সরকার, আরিফ রহমান ও খগেন্দ্রনাথ সরকার।