রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকার বর্তমানে প্রধান সমস্যাগুলো হচ্ছে ভাঙাচোরা সড়ক, জলাবদ্ধতা ও মাদক। নগরীর বেশির ভাগ সড়ক ভাঙাচোরা। অনেক ওয়ার্ডে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই নাজুক। ভারি বৃষ্টি হলেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এ ছাড়া মাদকের ভয়াবহ বিস্তারে উদ্বিগ্ন নগরবাসী। ভোটের আগে এখন এই তিন ইস্যু আলোচনায়।
রাসিকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেয়র নির্বাচনই এখন নগরবাসীর আলোচনার বিষয়বস্তু। ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। গত পাঁচ বছর সিটি করপোরেশন কতটুকু নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পেরেছে, চলছে তারই হিসাব-নিকাশ। এবার ভোটাররা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মাদকমুক্ত নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি চান মেয়র প্রার্থীদের কাছ থেকে। এ নিয়ে এখন চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। নগরবাসীর অনেকের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর তারা দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছেন। মশা নিধনের কোনো ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হয়নি। ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়নি। কিন্তু চড়া মূল্যে ট্যাক্স নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনে সেবার জন্য গেলেও পাওয়া যায়নি।
পাড়া-মহল্লায় যেসব রাস্তাঘাট ও ড্রেন ছিল, সেগুলো ভেঙে গেছে। শুধু তাই নয়, নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। সপুরা ও বিসিক এলাকায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। গণশৌচাগারের সমস্যাও প্রকট। সেই সঙ্গে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের দখলে। অটোরিকশার কারণে যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এবারের ভোটের মাধ্যমে আগামী দিনে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি চান নগরবাসী। উন্নয়নকর্মী ফয়জুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শিক্ষা নগরী বলা হলেও রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের অভাব আছে। যিনি মেয়র হবেন, তার কাছে তরুণ ভোটারদের এই দাবিটি থাকবে। এ ছাড়া গত চার বছরে নগরীর কোনো উন্নয়ন হয়নি, সেটিও ফিরে পেতে চাইবে মানুষ। ফলে আগামীর মেয়রের কাছে অনেকটা চ্যালেঞ্জ এবারের নির্বাচন।