বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে গাবতলী নবীনগর মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গাবতলী-নবীনগর চার লেন মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠকে  শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পিপিপি ভিত্তিতে গাবতলী-নবীনগর চার লেন মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। তবে এ প্রকল্পে কত টাকা ব্যয় হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নীতিগত অনুমোদন তাই ব্যয়ের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। জানা গেছে, গাবতলী-নবীনগর ৪ লেন মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণের পাশাপাশি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে পিপিপি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে বাস্তবায়নের কথা চিন্তা করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। শুধু এ প্রকল্পগুলোই নয়, আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্তির জন্য পিপিপির আওতায় নিতে ১২টি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে বিভাগটি।

রাজধানীতে সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই : ঢাকা শহরের সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য টিপসা স্পেন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনা বিলের সংযোগ নদী খনন, সেচ সুবিধার উন্নয়ন এবং মত্স্য চাষ প্রকল্পের আওতায় তালিমনগর পাম্প হাউস নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ ডিজেল পাম্প বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এদিকে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের লাইব্রেরি ভবন, অডিটোরিয়াম ভবন, পাবলিক প্লাজা, ফুড গার্ডেন, মিউজিয়াম, ক্যাফে ভবন, ব্লাক স্টেজ, উন্মুক্ত গ্যালারি ও মঞ্চ, ভূগর্ভস্থ জলাধার পাম্প হাউস, গভীর নলকূপ স্থাপন ও লিফট সরবরাহের কাজ পেয়েছে জিকেবিপিএল ও এনডিই।

এতে ব্যয় হবে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ের আরও তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এ ছাড়া দেশের চাহিদা মেটাতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে ১৫ বছর মেয়াদে ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় করবে সরকার। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে ১৫ বছর মেয়াদে ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ভারতের সেমক্রপ গায়ত্রী পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ দেশের সঞ্চালন লাইনে যোগ হবে। স্বল্প মেয়াদে চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা বিদ্যুতের প্রতি কিলোওয়াটের দাম হবে ৪ টাকা ৬৯ পয়সা। আর দীর্ঘ মেয়াদে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৬ টাকা ১৭ পয়সা।

গতকালের বৈঠকে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার বাই ছাপানোর একটি ক্রয় প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৮৮টি লটে দেশেই এসব বই ছাপানোর জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৪৩৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

সর্বশেষ খবর