শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ১৩

হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তারা হলেন আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন, খন্দকার মো. আলমগীর হোসেন ওরফে মাসুম, জহুরুল হক, সৈয়দ শাহরিয়ার সোহাগ, খালেদ মাহমুদ, রহমত উল্লাহ, হাফিজুর রহমান, ইনছান আলী, সিরাজুল ইসলাম, নাদিম উদ্দিন, মেহেদি হাসান, হানিফ কাজী ও মামুনুর রশিদ। বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতারের পর গতকাল দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে লোভনীয় বেতনে উচ্চপদে চাকরি দেওয়ার নামে শত শত মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরির আবেদনকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে রাজধানীতে অফিস খোলার পর আকর্ষণীয় ডেকোরেশন করে। একই সঙ্গে তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট চালু করে এবং জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারণা চালায়। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে তাদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নাটক করে সবাইকে চাকরি দেয়। এতে যোগদানের তারিখও উল্লেখ করা হয়। তাদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি, পেনশন স্কিম ও ব্যক্তিগত গাড়ি বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে একদিন তারা অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩ সাল থেকেই চক্রটি ফরচুন, রেক্সন, ইস্টার্ন, কেয়া, নেক্সাস, সানলাইট ও ম্যাক্স ভিশন গ্রুপ অব কোম্পানি নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে শত শত মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রের মূল হোতা আল আমিন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চক্রটি মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করে।

চক্রটি তিন-চার মাস পরপর তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে আটটি মামলা পাওয়া গেছে। এর আগে, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে র?্যাব তাদের গ্রেফতার করেছিল। প্রতারণা ও মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ খবর