রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলোর মুখ দেখছে বগুড়া সিরাজগঞ্জ রেলপথ

উত্তরের জেলার সঙ্গে কমবে দূরত্ব

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। শুরু হতে যাচ্ছে ভূমি হুকুমদখলের কাজ। রেলপথের নকশা তৈরি ও স্টেশনের সংখ্যা নির্ধারণসহ প্রাকপ্রস্তুতির অনেক কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন রেলপথ ও স্টেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত জমির মূল্য নির্ধারণের কাজ চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উত্তরের ১০ জেলার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৭২ কিলোমিটার পথ কমে আসবে। সময়ের সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হবে উত্তরের মানুষ। জানা যায়, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। এ দুই জেলার মধ্যে সরাসরি রেলপথ না থাকায় এ অঞ্চলের ট্রেনগুলোকে বর্তমানে সান্তাহার, নাটোর ও পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি বেশি ভাড়াও গুনতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, প্রকল্পের আওতায় দুটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। একটি বগুড়া স্টেশনের ২ হাজার ৬০০ ফুট পশ্চিমে বগুড়া শহরের বেলাইল এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার এবং অন্যটি বগুড়ার কাহালু থেকে রানীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথ। এজন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। মূলত বগুড়ার সান্তাহারের দিক থেকে ছেড়ে আসা এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সান্তাহারগামী ট্রেনগুলো যাতে বগুড়া স্টেশন এড়িয়ে সরাসরি চলাচল করতে পারে সেজন্য কাহালু-রানীরহাট রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রানীরহাটে একটি জংশনও নির্মাণ করা হবে। নতুন ওই রেলপথে আরও সাতটি স্টেশন স্থাপন করা হবে। এগুলো হলো রানীরহাট, আড়িয়াবাজার, শেরপুর, চান্দাইকোনা, রায়গঞ্জ, কৃষাণদিয়া ও সদানন্দপুর। প্রকল্পটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক জানান, ‘চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটিকে দ্রুত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠানোর জন্য ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তিন মাসের মধ্যেই প্রকল্পটি যাতে অনুমোদন হয় সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর