চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন যুবলীগ কর্মী কাজী রাশেদ! ঘটনাস্থলের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, জব্দ ফুটেজ দেখে সোহেল, হাসু, দীপু, ফিরোজসহ পাঁচ-ছয় জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নামে রবিবার বিকালে কাজী রাশেদের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার বনানী থানায় মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে রবিবার ভোরে আমতলীর জলখাবার হোটেলের পেছনের গলি থেকে রাশেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাশেদকে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা হাতে পলিথিন পেঁচিয়ে লাশটি টেনে জলখাবার হোটেলের পেছনের গলিতে নিয়ে যায়। জানা গেছে, রাশেদ সপরিবারে মহাখালীর আমতলীতে থাকতেন। শনিবার বিকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার সকালে খবর পেয়ে রাশেদের গুলিবিদ্ধ লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। রাশেদের স্বজনদের অভিযোগ, রাশেদ বেশির ভাগ সময় সোহেলের সঙ্গে থাকতেন। জাকির নামে আরেকজন থাকতেন তাদের সঙ্গে। সম্প্রতি জাকিরের সঙ্গে রাশেদের মনোমালিন্য চলছিল। এ বিষয়ে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবদুল আহাদ জানান, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউই গ্রেফতার হননি।