বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
সিটি নির্বাচন

দুই মেয়র প্রার্থীর পক্ষে তৎপর কেন্দ্রীয় নেতারা

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চলছে শেষ দিকের প্রচারণা। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রচারণায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিচ্ছেন নিজ নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীকের প্রচার মিছিল বের হয়। মিছিলটি মনিচত্বর গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও জাহাঙ্গীর আলম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। এরপর নগরীর শ্রীরামপুর, সুইপার কলোনি, চন্ডীপুর ও ঘোষপাড়া, সিএন্ডবি মোড়সহ আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে নৌকায় ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীতে বোমা হামলার একটি ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আর বোমা হামলার ঘটনাটি বিএনপি নিজেরাই করেছে, এটির প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেয়েছে। রাজশাহীতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন আছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে, সেটি তাদের এখতিয়ার।’ শ্রীরামপুর এলাকায় পথসভায় লিটন বলেন, ‘বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি নাকি নদীর ধারের বসতি উচ্ছেদ করে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলবো। এটি বিএনপির মিথ্যাচার ও অপপ্রচার।

গতকাল সকালে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির গণজোয়ার দেখে সরকার দলীয় প্রার্থী হিংসাপরায়ন হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি ও ২০ দলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করছে।

কোনো রকম মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করে মহানগরীর থানা বাদে সিটির বাইরের থানায় মামলা দায়ের করছে পুলিশ। রাজশাহীতে সরকারি দলীয় প্রথম সারির নেতারা বসে থেকে এ কর্মকাণ্ড করছে। রাজশাহীতে এখন আর নির্বাচনী পরিবেশ নেই। পরিবেশ নষ্ট করার মূলে সরকার দলীয় প্রার্থী। বুলবুল বলেন, রাজশাহীতে তাদের জনসমর্থন এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এ অবস্থা দেখে অবৈধপন্থায় এবং জোর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার, ব্যালট পেপার কেটে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাজশাহীতে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের দিন কোনো প্রকার সন্ত্রাস, ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির পাঁয়তারা করলে জীবন দিয়ে হলেও রুখে দেওয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।

সর্বশেষ খবর