বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

লিটনের বিশাল জয়ের নেপথ্যে দলীয় ঐক্য

রাজশাহী

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় উজ্জীবিত রাজশাহী আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছিলেন লিটন। দলের নেতারা বলছেন, লিটনের এই বিপুল জয়ের নেপথ্যে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। গত নির্বাচনে যেখানে আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী দৃশ্যত মাঠেই ছিলেন না, এবার তারা দিনরাত কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে লিটন এবার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে মাঠে নামাতে পেরেছেন। তারা নির্বাচনে শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন। রাজশাহী সদর আসনের এমপি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে থাকতে চায়। রাজশাহীবাসীও তাই চেয়েছে এবং যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে ভোট দিয়েছে। লিটনের অতীত উন্নয়নের কারণে মানুষ আবার তাকেই চেয়েছে। একবার রাজশাহীবাসী ভুল করলেও এবার সে ভুল করেনি। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে চরম অপপ্রচার, মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতীয় ইস্যুকে সামনে এনে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বুলবুল নির্বাচিত হলেও নগরীর উন্নয়নে কোনো অবদান রাখতে পারেননি। আর লিটন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নে বদলে দিয়েছিলেন রাজশাহী মহানগরী। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন নগর উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন। এটি প্রমাণিত হয়েছে। রাজশাহীতে অনেক আগে থেকেই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন লিটন। ফলে দলের নেতা-কর্মীরা সবাই এক হয়ে মাঠে ছিলেন। গত নির্বাচনে দলের কর্মীদের মধ্যে যে বিভেদ ছিল, এবার তা ছিল না। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন।    রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ২০০৮ সালে মেয়র পদে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বিজয়ী হওয়ার পর রাজশাহীর ছয়টি আসনে তারা বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও সংসদ নির্বাচনের আগে এমন জয় এলো। ফলে আওয়ামী লীগ এ অঞ্চলে আরও উজ্জীবিত হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, লিটন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। রাজনীতিতে তার অবদান, পারিবারিক ঐতিহ্য তাকে সফলতা এনে দিয়েছে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে।

সর্বশেষ খবর