শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দরের নিয়োগ জালিয়াতি, তোলপাড়

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মোংলা বন্দরে জাল সার্টিফিকেট, কোটা ও বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে ৩১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তলব করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে মোংলা বন্দর কার্যালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে মোংলা বন্দরের বিভিন্ন পদে কয়েক শ লোককে চাকরি পাইয়ে দেন বন্দরের কর্মচারী নেতারা। তবে কর্মচারী নেতা পল্টু ও সাকিব বলেন, ‘২০১৩ ও ১৪ সালে যারা বন্দরে নিয়োগ পেয়েছেন দুদক তাদের ডেকে শুধু শুধু হয়রানি করছে। ’

খুলনার দুদক উপপরিচালক নীল কমল পাল বলেন, বিগত ২০১৩ ও ১৪ সালে মোংলা বন্দরে নিয়োগ পাওয়া ৩১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বেশিরভাগের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগ ওঠায় গত মাসে দুই দফায় ২৮ জনকে তলব করা হয়। বৃহস্পতিবার আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যেসব ব্যক্তি জাল সার্টিফিকেট, কোঠা ও বয়সসীমা জালিয়াতি করে মোংলা বন্দরে চাকরি নিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে তাদের ডাকা শুরু হয়েছে। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বিষয়টি তদন্ত করছেন। সূত্র জানায়, দুদকের কাছে    অভিযোগ রয়েছে, মোংলা বন্দর ও বন্দরের ১৯টি জলযানে জাল সার্টিফিকেট, কোঠা ও বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে ৩১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বন্দরের জলযান এম এল গাংচিল, এম টি শিবসা, এ টি সারথী-২, বি এল ভি মালঞ্চ, এম এল ঝিনুক, এম এল ঊষা, এম টি সারথী-১, এম ভি রুহী, এম এল রাজহংস, এম ভি তৃষ্ণা, এফ এফ টি অগ্নি প্রহরী, এম এল মযূরপঙ্খী, এম এল বলাকা, এম এল পান্না, এম এল হীরা, এম এল মতি, এম এল অনুসন্ধানী, এম এল ঊর্মি, ও এম এল মুক্তার যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের ক্রেন হেলপারসহ বিভিন্ন পদের নব্বই শতাংশ কর্মচারীই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর