শিরোনাম
শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকার পরিবর্তনের সময় এসে গেছে : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার পরিবর্তনের সময় এসে গেছে : মওদুদ

সরকার পরিবর্তনের শেষ সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আমি অনেক দিন আগে একটি কথা বলেছিলাম, অতি দ্রুত দেশের রাজনৈতিক চিত্র পরিবর্তন ঘটতে থাকবে। কখন, কোথায় কি ঘটবে আমরা কেউ তা জানি না। সময় এসেছে, সক্রিয় ইমানি ভূমিকা পালন করার। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সরকার পরিবর্তনের শেষ সময় এসে গেছে।’

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতন এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেন’— শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন, শাজাহান মিয়া সম্রাট, ভিপি ইব্রাহিম, মিয়া মো. আনোয়ার, আরিফা সুলাতানা রুমা, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রকৃতির আইন নিজস্ব গতিতে চলে। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের কথা আমরা দুই সপ্তাহ আগেও ভাবিনি। আসলে কখন কি ঘটবে তা আমরা জানি না। সবকিছু দেখে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। পুলিশ আছে, র?্যাব আছে, কিন্তু কোনো সরকার নেই। রাজধানীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করা হলো, কারা হামলা করেছে আমরা সবাই জানি কিন্তু কোনো গ্রেফতার নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা চলে গেল, সোনা চুরি হলো, কয়লা চুরি হলো, পাথর চুরি হলো, কঠিনশিলা চুরি হলো, কিন্তু একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। দেশে সরকার থাকলে এগুলো হওয়ার কথা নয়।’ নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার সরকারের তল্পিবাহক। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় একটি সত্য কথা বলে ফেলেছেন, আগামী নির্বাচনে অনিয়ম যে হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

তার এই বক্তব্যের পরই অন্য কমিশনাররা দ্বিমত পোষণ করেছেন। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আর নিজের পদে থাকার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি। সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু এরপর শহিদুল আলমের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে এটা অকল্পনীয়। সরকার একদম বেপরোয়া হয়ে গেছে। সরকার বুঝতে পেরেছে জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আর নেই। জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই উপলব্ধি আজকে তাদের মধ্যে এসেছে বলেই তারা হিংস্র ও নিষ্ঠুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন পরিবহন আইন একটি প্রতারণা— মন্তব্য করে তিনি আটককৃত ২২ ছাত্রকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর