অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জামিন না দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তার মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থাপনের পর গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে জেসমিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ     আলম খান সাংবাদিকদের জানান, জেসমিন ইসলাম জামিন পাননি। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৭ জুলাই আদালতে জেসমিন ইসলামের আইনজীবীরা তার অসুস্থতার কথা জানালে আদালত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মেডিকেল রিপোর্ট চায়। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। সেদিন বিকালে দুদক তাকে গ্রেফতার করে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হলমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক ও মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। এ প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়ার পরও আমদানি-রপ্তানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করা হয়। ওইসব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়।