বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ বেঁচে আছে

—— ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন ক্ষুদ্র কর্মী এটাই আমার পরিচয়। আমাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তার নীতি ও আদর্শ বেঁচে আছে। এদেশে স্বৈরাচার টিকতে পারেনি। এই মাটি স্বৈরাচারের নয়। বঙ্গবন্ধু জনগণকে সব ক্ষমতার মালিক করে গেছেন। তাই কোনো শক্তি নেই আমাদের বঞ্চিত করে। অন্যায়ের সামনে মাথানত না করা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা। কেউ আমাদের দাস করে রাখতে পারেনি। ভবিষ্যতে কেউ এই চেষ্টা করলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষা দেবে। ড. কামাল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল ঢাকা মহানগর গণফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। ড. কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। বঙ্গবন্ধু সুস্থ রাজনীতি দিয়ে গেছেন। কিছু পাওয়ার জন্য তিনি রাজনীতি করেননি। মানুষের মুক্তি ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করেছেন। লোভ-লালসা-ভয় তাকে পিছপা করেনি। আপসহীনভাবে লড়াই করেছেন। মানুষকে কেনা যায় না— বার বার এই প্রমাণ দিয়েছেন। মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিয়ে গ্রামেগঞ্জে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখার জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিছু মানুষ তাকে হত্যা করে তার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি অমর। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, চাঁদাবাজির টাকায় কাঙ্গালি ভোজ করে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতারা যদি অসৎ হন তাহলে সেই রাষ্ট্রের উন্নতি অসম্ভব। পঁচাত্তরের পনের আগস্টের পর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম ও সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহর কঠোর সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একজন বঙ্গবন্ধুর দাফনের ব্যবস্থা করার পরিবর্তে নতুন মন্ত্রিসভার কাজের তদারকি করেছিলেন। আরেকজন তো বঙ্গবন্ধুকে পালাতে বলেছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর