শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুশ্চিন্তায় বরিশালের খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল জেলায় ছোট-বড় সাড়ে ৪ হাজার খামারে মোটাতাজা করা ৩০ হাজার কোরবানির ষাঁড় গরু নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। প্রায় নয় মাস ধরে লালনপালন করা এসব ষাঁড় গরু এখন কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলের আরও অন্তত অর্ধলক্ষাধিক ষাঁড় গরু এখন কোরবানির হাটে যাওয়ার অপেক্ষায়। বছরব্যাপী ষাঁড় লালনপালন করে এখন লাভের আশায় উদ্যোক্তারা। তবে ভারতীয় গরু কোরবানির বাজারে প্রবেশ করলে দেশি এসব গরুর দাম মার খাবে বলে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। বরিশাল সদর উপজেলার তালুকদারহাট এলাকার বেকার যুবক আল-আমিন দুই বছর আগে গরুর খামার করেছেন। গত বছর প্রথমবারের মতো তার ফার্মে পরিচর্যা করা ২৬টি ষাঁড় গরু নিয়ে ভালো লাভের আশায় গিয়েছিলেন কোরবানির হাটে। কিন্তু ভারতীয় গরুর দাপটে স্বল্প লাভ নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছিল তাকে। ওই বছরই তিনি বিভিন্ন বাজার থেকে ১১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২৯টি দেশি ষাঁড় গরু কেনেন পরবর্তী কোরবানির হাটের জন্য। দীর্ঘ নয় মাসে এসব গরুর পরিচর্যায় তার আরও ব্যয় হয়েছে অন্তত ১০ লাখ টাকা। দুজন কর্মচারীসহ নিজে দিনরাত পরিশ্রম করে ভালো ভালো খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা ২৯টি ষাঁড় গরু নিয়ে এখন কোরবানির হাটের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। ভারতীয় গরুর দাপট না থাকলে এবার দেশি ষাঁড় দিয়ে মোট অঙ্ক লাভের আশা ফার্মের মালিক আল-আমিনের। বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম জানান, জেলার ৪ হাজার ৫২৬টি খামারে অন্তত ৩০ হাজার গরু এবারের কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া চরাঞ্চলে রয়েছে আরও অন্তত অর্ধলক্ষাধিক গরু। স্থানীয় গরু দিয়েই বরিশালের কোরবানির হাটের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার। তাই দেশের বাইরে থেকে যাতে কোনো গরু আসতে না পারে সেজন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার কথা জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর