শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কঠোর সিদ্ধান্ত ২০ তারিখ থেকে কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কঠোর সিদ্ধান্ত ২০ তারিখ থেকে কার্যকর

ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বিশেষ করে বাসের চালক, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী এমনকি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করলে পথচারীকেও আইনের আওতায় আনা হবে। রুট পারমিট ও ফিটনেসহীন যানবাহন ধ্বংস করে দেওয়ার বিষয়টি সরকারের ভাবনায় আছে। আগামী ২০ আগস্ট থেকে এ সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে গতকাল এক সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক ওই সভায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিককে ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘প্রশংসাসূচক’ সম্বোধনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে— ঢাকা শহরের চলমান সকল গণপরিবহনকে (বিশেষত বাস) শহরে চলাচলের সময় ওঠানামার গেট বন্ধ রাখতে হবে। বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না। বাসের দুটি দৃশ্যমান স্থানে চালক এবং হেলপারের ছবিসহ নাম, চালকের লাইসেন্স নম্বর ও মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করতে হবে। 

মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীকে (সর্বোচ্চ দুজন আরোহী) বাধ্যতামূলক হেলমেট পরতে হবে এবং সিগন্যালসহ সব ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করতে হবে। মহাসড়কে চলমান সব পরিবহনে বিশেষ করে দূরপাল্লার বাসে চালক এবং যাত্রীর সিট বেল্ট ব্যবহারে নির্দেশনা দিতে হবে। ঢাকায় যেসব স্থানে ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস আছে সেসব স্থানে উভয় পাশে ১০০ মিটারের মধ্যে রাস্তা পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। ঢাকার সব জেব্রাক্রসিং ও রোড সাইন দৃশ্যমান করা, ফুটপাথ হকারমুক্ত রাখা, অবৈধ পার্কিং এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক সিগনাল ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ঢাকায় রিমোটকন্ট্রোলের অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগনালিং চালু করতে হবে। সড়ক ডিভাইডারের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে উপর বা নিচ দিয়ে চলাচল করা না যায়। মহাখালী ফ্লাইওভারের পর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ন্যূনতম দুটি স্থানে স্থায়ী মোবাইল কোর্ট / আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে যানবাহন ও ফিটনেসের লাইসেন্স পরীক্ষা করা হবে। ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী, স্কাউট এবং বিএনসিসির সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পুলিশ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দফতর এসব সিদ্ধান্ত স্বল্পমেয়াদে কার্যকর করবে বলে সভায় বলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর