বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চামড়া এখন গলার ফাঁস

ক্রেতা নেই, রংপুরে বিক্রি হয়নি ১০ কোটি টাকার চামড়া

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

কোরবানির ঈদ গেল ১৪ দিন আগে। অথচ এখনো চামড়া বিক্রি করতে পারেনি রংপুরের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। ক্রেতা সংকটের পাশাপাশি ট্যানারি মালিকরা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া না কেনায় বড় অংকের লোকসানের মুখে পড়েছে জেলার দেড় শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী। লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রেখেছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে এ চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ফলে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে ১০ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তার উপরে প্রচণ্ড গরমে অনেক ব্যবসায়ীর সংরক্ষণ করা চামড়ায় পচন ধরেছে।

রংপুরের চামড়ার বড় মোকাম নগরীর শাপলাচত্বর হাজীপাড়ায় গতকাল ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা নেই। লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানকার আড়তদার মুরাদ খান বলেন, ‘তিনি ৫০০-৮০০ টাকা দরে ৫ হাজার পিস গরুর চামড়া কিনেছেন। এখন পর্যন্ত এক পিস চামড়াও বিক্রি করতে পারেননি। ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনছেন না। লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতে গিয়ে প্রতি পিস চামড়ার দর পড়েছে ১০০০-১১০০ টাকা। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া কিনবে না বলে ট্যানারি মালিকরা জানিয়েছেন। ওই দামে চামড়া বিক্রি করলে ১৫ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।’ আরেক আড়তদার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘১০ হাজার পিস চামড়া কিনেছি। ঈদের পরপরই গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও বগুড়ার আড়তদারে কাছে ২ হাজার পিস বিক্রি করার পর এখন আর ক্রেতা নেই। চামড়ায় লবণ দিয়ে রাখার পর গরমে পচন ধরেছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে সব চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে।’ রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ খান বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে রংপুরের আড়তদাররা চামড়া কিনতে পারেনি। মৌসুমী ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়া ৩৫-৪৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। লবণের দাম বেশি হওয়ায় শ্রমিকের মজুরিসহ প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫৫-৬০ টাকা পড়েছে। ট্যানারি মালিকরা দাম না বাড়ালে আড়তদারদের মোটা দাগে লোকসান গুণতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর