মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু

আদালত থেকে জামিনে মালিক-ড্রাইভার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সরকারি তদন্ত দলের সদস্যরা যখন চৌড়হাস মোড়ে দুর্ঘটনাস্থল তদন্ত করছেন, ঠিক তখনই শিশু আকিফাকে বাসচাপা দেওয়া সেই গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক ও ড্রাইভারকে জামিন দিয়েছে আদালত। গতকাল সকালে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এ দুই আসামিকে জামিন দেন।

এর আগে রবিবার ফরিদপুর থেকে বাসের মালিক জয়নালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় এনে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আর ড্রাইভার মহিদ মিয়া ওরফে খোকন সকালে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত সূত্র জানিয়েছে, আকিফার বাবার করা মামলায় গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক জয়নাল মিয়াকে ফরিদপুর থেকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। রবিবার বিকালে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল সকালে মালিকপক্ষের আইনজীবীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম মোর্শেদের আদালতে জামিন আবেদন করেন। একই সময় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ড্রাইভার মহিদ মিয়া ওরফে খোকন। পরে আদালত দুজনকেই জামিন দেয়। আসামির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশরাফ বলেন, নতুন আইন এখনো গেজেট হয়নি। তাই পুরাতন আইনে আসামিদের জামিন আবেদন করা হয়। সবদিক বিবেচনা করে আদালত আসামিদের জামিন দিয়েছে। এদিকে আকিফা হত্যার ঘটনায় গঠিত সরকারি তদন্ত দলের ১০ সদস্য সকালে কুষ্টিয়ায় আসেন। তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তারা আকিফার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও তারা কথা বলেন। তদন্ত দলে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ পরিচালক (অপারেশন) সীতাংশু শেখর বিশ্বাস, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ও দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্য কাজী মোহাম্মদ সাইফুন নেওয়াজ, নিরাপদ সড়ক চাই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, সাংবাদিক অশোক চৌধুরী। এ ছাড়া স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি ছাড়াও বিআরটিএ বিভাগীয় পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত শেষে সড়ক পরিবহন ও সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিশু আকিফার মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে যেটি মনে হয়েছে- চালকের অদূরদর্শিতার কারণেই শিশু আকিফার করুণ মৃত্যু ঘটেছে। এ দুর্ঘটনার দায় চালক এড়াতে পারেন না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আকিফার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। দুর্ঘটনার যে ভিডিওচিত্র সেটিও আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর