শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাবিতে ৪৮ বছরে মাত্র পাঁচ সমাবর্তন!

শরিফুল ইসলাম সীমান্ত

জাবিতে ৪৮ বছরে মাত্র পাঁচ সমাবর্তন!

হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকরো টুকরো অজস্র মুহূর্তের সম্মিলিত স্মৃতিচারণ। স্বয়ং রাষ্ট্রপতির হাত থেকে অর্জিত বিদ্যার স্বীকৃতি। কালো গাউন। চারকোণা কালো টুপিটিকে আকাশপাণে ছুঁড়ে দিয়ে আকাশ ছোঁয়ার প্রত্যাশা। এ সব কিছুই যেন ভেসে উঠে সমাবর্তনের দিনটিকে ঘিরে। যে দিনটিকে মনের গভীরে ধারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র পাঁচবার সমাবর্তন হয়েছে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)। হতাশাব্যাঞ্জক হলেও এটিই বিশ্ববিদ্যালয়টির বাস্তব অবস্থা।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মানকে নির্দেশ করে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শেষ করে প্রতিটি শিক্ষার্থী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে সমাবর্তনের দিনটির জন্য। এদিন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল বা পিএইচডি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা সনদ গ্রহণ করে স্বয়ং রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৬ বছর পর। এরপর ২০০১ সালে দ্বিতীয়, ২০০৬ তৃতীয়, ২০১০ সালে চতুর্থ এবং ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় সর্বশেষ সমাবর্তন। ২০১৫ সালের সমাবর্তনে সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পেরেছিল। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪০ থেকে ৪৩তম আবর্তনের ৪টি ব্যাচের প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী তাদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করে ৬ষ্ঠ সমাবর্তনের অপেক্ষায় আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘নিয়মিত সমাবর্তন হলে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের প্রতি ছাত্র-শিক্ষকরা সচেতন থাকে। সেশনজট কমে আসে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গতিশীলতা বাড়ে। তাছাড়া সদ্য স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীর মানসিক প্রশান্তি এবং কর্মস্পৃহাও বৃদ্ধি পায়।’ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘সমাবর্তন নিয়ে এখনো আমাদের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। তবে শিগগিরই যাতে এটি আয়োজন করা যায় সে জন্য আমরা চেষ্টা করবো।’

সর্বশেষ খবর