শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬৫০ কোটি টাকা

সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ এক হাজার ৪৩৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪০ মন্ত্রণালয়ের কাছেই পাওনা ৬৬৮ কোটি টাকা। আর আধা-সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে বকেয়া আছে ৭৬৬ কোটি টাকা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে সরকারদলীয় সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৪ কোটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২২ কোটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আট কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২১ কোটি, স্থানীয় সরকার বিভাগে ৩৬ কোটি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে ১৬ কোটি, নির্বাচন কমিশনে আট কোটি, অর্থ বিভাগে ১০ কোটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তিন কোটি, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ৪৪ কোটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ৫২ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৪৬ কোটি, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ছয় কোটি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ১১ কোটি, ভূমি মন্ত্রণালয়ে আট কোটি, আইন মন্ত্রণালয়ে  নয় কোটি, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সাত কোটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১৩ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১২ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১২ কোটি, প্ল্যানিং কমিশনে ১১ কোটি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৫৭ কোটি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে দুই কোটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চার কোটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দুই কোটি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চার কোটি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার কোটি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৬০ লাখ। এ ছাড়া পাট ও বস্ত্র, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), বিজ্ঞান তথ্য ও প্রযুক্তি, শিল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আরও প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

শতভাগ বিদ্যুতায়ন এই বছরই : জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বিদ্যুতায়নের কাজ করেছি। এখন পর্যন্ত শতকরা ৯২ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি, বাকিটাও দ্রুতই শেষ করা যাবে। আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা। বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ : কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য গত ২৫ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর