শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
দক্ষতা নিয়ে বিএনপির আপত্তি

খালেদার মেডিকেল বোর্ড আজ কারাগারে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির মামলায় কারান্তরীণ অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে দেখতে কারাগারে যাবেন। আজ দুপুরে পাঁচ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড নাজিম উদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবেন বলে জানান জেলার মাহবুবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আমাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার কাছে আসবে। চিকিৎসকদের সব ধরনের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি আমরা। তবে সরকারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। একই প্রশ্ন তুলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। ডা. জাহিদ বলেন, ‘সরকারের ফরমায়েশ অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকরা যারা ভালো ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে সাজেশন দিতে পারেন, পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, তাদের দিয়ে করা হয়নি। খুঁজে খুঁজে সরকারের যারা বিশ্বস্ত, তাদের কথায় কাজ করবে তাদের দিয়ে করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘চক্ষু বিভাগে প্রফেসর আছেন তিনজন। কোনো প্রফেসরকে বোর্ডে রাখা হয়নি। একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে রাখা হয়েছে। তিনি কোনো একটা (আওয়ামী লীগ) উপকমিটির মেম্বার। আবার ফিজিক্যাল মেডিসিনে একজন নারী চিকিৎসককে রাখা হয়েছে। তার ওপরে ৬ জন প্রফেসর আছেন, দুই নারী অধ্যাপকও আছেন। তাদের করা হয়নি।’

সিনিয়র চিকিৎসকদের বাদ দিয়ে সরকারের বিশ্বস্ত দলীয় বিশ্বস্তদের দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএসএমইউয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল সিনিয়র অধ্যাপকদের দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা। কিন্তু ওই যে ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া, যিনি দীলিপ বড়ুয়ার ছোট ভাই এবং তাদের (সরকার) নিজস্ব লোক। তাদের ফরমায়েশ অনুযায়ী, তিনি মেডিকেল বোর্ড করেছেন। এখানে প্রফেশনালিজম কী থাকল? আমরা আশা করব, চিকিৎসকের আইডেন্টিটি হবে চিকিৎসক। তিনি কোন দল করেন সেটা আমরা দেখব না। চিকিৎসকের কাছে বড় পরিচয় তিনি একজন রোগী, আমি একজন ডাক্তার। এ অবস্থা চলতে পারে না।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সরকার। বোর্ডের সদস্যরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিনের অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরী, কার্ডিওলজির অধ্যাপক হারিসুল হক, অর্থোপেডিক সার্জারির অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী, চক্ষুর সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ।

সর্বশেষ খবর