শিরোনাম
রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজনীতিতে নিজের এলাকার জন্য অর্থ বড় বিষয় নয়

---আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে বিশ্বাস, মনের জোর ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকার থাকতে হয়। বুকে সাহস নিয়ে রাজনীতি করতে হয়, অন্যের দয়ার ওপর ভর করে রাজনীতি হয় না। নিজের এলাকা নিজেকেই গড়তে হয়, অন্য কেউ গড়ে দেবে না। এ গড়ার জন্য অর্থ বড় বিষয় নয়। রাজনীতি যদি অর্থের   কাছে আত্মসমর্পণ করত তাহলে লুটেরারাই ৩০০ আসনে এমপি থাকত। তিনি গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি চীনা রেস্তোরাঁয় জেপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় বক্তৃতা করছিলেন। সভায় সারা দেশ থেকে আসা নেতারা অংশ নেন। সভায় জেপি সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, আবদুর রহিম, মফিজুল হক বেবু, এজাজ আহমেদ মুক্তা, রুহুল আমিন এমপি, কর্নেল আবদুল লতিফ মল্লিক (অব.), জয়নাল আবেদীন, শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী, আবু সাঈদ খান ও নাজমুন নাহার বেবী উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আজ কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচনের পরিবেশ নেই। পাকিস্তান আমলে কী পরিবেশ ছিল? আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় কী পরিবেশ ছিল?

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও আমরাই (জেপি) প্রথম বলেছিলাম, আমরা বিপ্লবীও নই, বিদ্রোহীও নই, জেপি সবসময় নির্বাচনমুখী দল। সেজন্যই নিঃশর্তভাবে আমরা সেই নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছিলাম। নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না— এটা আমাদের পূর্বশর্ত নয়। এবারও আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু রাখতে এবং এ পথকে এগিয়ে নিতেই আমরা ১৪ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ আছি। কারণ নির্বাচন না হলে নৈরাজ্য হবে, গণতন্ত্র আরও বাক্সবন্দী হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকেও কোথাও কোথাও সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ৩০০ ভোট পাওয়ারও যাদের ক্ষমতা নেই কোনো কোনো স্থানে তারা অঙ্গুলি হেলনে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এটা পরিস্থিতিকে সংকটময় করে তুলছে।’

বর্ধিত সভায় জেপি সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনীতিতে জনগণের ক্ষমতায়ন দরকার। সামনে নির্বাচন, সেখানে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। যারা নির্বাচন বয়কটের কিংবা নির্বাচন প্রতিহতের হুমকি দেন তাদের মনে রাখা দরকার, শর্ত দিয়ে নির্বাচন হয় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ধারণাটি কারা নষ্ট করেছে তা সবার জানা। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া জাতি, দেশ কিংবা কারও জন্যই নিরাপদ নয়।’

সর্বশেষ খবর