সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

এমপিওভুক্তির ফয়সালা অক্টোবরে

সংসদে তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

এমপিওভুক্তির ফয়সালা অক্টোবরে

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করার বিষয়টি অতি আলোচিত ও সবার জানা। আমরা ২০১০ সালে ২ হাজার ৪০০ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি করেছিলাম। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় না দেওয়ায় আমরা এমপিওভুক্তি করতে পারিনি। এবার অর্থমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামত নিয়ে আগামী মাসের মধ্যে এমপিওভুক্তির বিষয়ে আমরা ফয়সালা করে দেব। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিও একটি স্থায়ী ব্যাপার। মাসে মাসে তাদের বেতন দিতে হবে। কেউ রিটায়ারমেন্টে গেলে পরবর্তী যে আসবে সে এই বেতনটি পাবে। ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া আমরা এটা করতে পারি না। এবার অর্থমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। কিছু টাকা বরাদ্দও দিয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা প্রজ্ঞাপন দিয়েছি, যারা এমপিওভুক্ত হতে চান তারা অনলাইনে আবেদন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়ে আগামী মাসের মধ্যে এটা আমরা ফয়সালা করে দেব।

আসছে ‘প্রশ্ন ব্যাংক’ : এমপি বেগম লুত্ফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সব বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগে ‘প্রশ্ন ব্যাংক’ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রশ্ন ব্যাংকের জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। এর ফলে পাবলিক পরীক্ষাসমূহের প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরিকল্পনা নেই : এদিকে একাধিক সংসদ সদস্যের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান জানান, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়েছে। তারপরও কিছু বিদ্যালয় এখনো সরকারিকরণের বাইরে রয়ে গেছে। সরকারের এই মেয়াদে আর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরিকল্পনা নেই।

যৌতুক গ্রহণ ও মিথ্যা মামলার একই শাস্তি ৫ বছরের জেল : বিবাহে যৌতুক দাবি, গ্রহণ বা প্রদানের পাশাপাশি এক্ষেত্রে সহায়তা করার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের এবং কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ পাস হয়েছে। একই সঙ্গে আইনে  যৌতুকের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করলেও ৫ বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। 

বিলে এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের বিচার হবে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুসারে। এ ছাড়া আইনে অপরাধ জামিন অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হলেও একই সঙ্গে আপসযোগ্য হিসেবেও বিবেচিত হবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের তিন ধারায় বলা হয়েছে, যদি বিবাহের কোনো পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিবাহের অন্য কোনো পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করেন তা হলে এই আইনের অধীনে তা অপরাধ হবে। তজ্জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে কিন্তু অন্যূন এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল না। বিলের চার ধারায় বিবাহের কোনো পক্ষ যৌতুক গ্রহণ করলে বা প্রদান করলে বা এক্ষেত্রে সহায়তা করলে বা কোনো চুক্তি করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। উপরোক্ত একইদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের ৫ ধারায় যৌতুক সংক্রান্ত সব চুক্তিকে আইনের চোখে অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থেকে সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের ছয় ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে যৌতুকের মিথ্যা মামলার জন্য কোনো শাস্তির বিধান ছিল না। এই আইন বলে ডুওয়ারি  প্রোহিবিটেশন অ্যাক্ট ১৯৮০ রহিত করা হয়। তবে উক্ত আইনের অধীন চলমান মামলাসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে আগের আইন বহাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিহারিদের জন্য ৬ হাজার ৩২০টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে : অবাঙালি বিহারিদের জন্য সারা দেশে নির্মিত হচ্ছে ৬ হাজার ৩২০টি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাসরত বিহারিদের জন্য ৬ হাজার ৩২টি এবং চট্টগ্রামের হালিশহর হাউজিং এস্টেটের বি ব্লকে অবাঙালি বিহারিদের জন্য ২৮৮টি ফ্লাট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

মানহীন সার বিক্রির সাজা ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড : নিবন্ধনহীন ও মানহীন রাসায়নিক, জৈব, জীবাণুু বা বায়ো ফার্টিলাইজার, মিশ্র সুষম সার উৎপাদন, আমদানি, বিপণন, পরিবহন ও বিক্রয়ের জন্য ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে পাস হয়েছে সার ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল ২০১৮।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে বিলটি সংসদে স্থিরকৃত আকারে সার ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল ২০১৮ পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এরআগে বিলের ওপর আনীত বছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনীসমূহ কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর