শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আতঙ্কে চট্টগ্রাম বিএনপি নেতারা

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

আতঙ্কে চট্টগ্রাম বিএনপি নেতারা

মীর জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতা। থাকেন বিশ্বব্যাংক কলোনিতে। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে অতীতের কোনো মামলা নেই। কিন্তু গত শনিবার রাতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে না পেয়ে তার ছেলে মীর ফয়সালকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। মীর ফয়সাল ওমরগনি এমইএস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পিতা রাজনীতি করেন বলে এখন ছেলেকেই তার মাশুল দিতে হচ্ছে— এই যেন দশা। এমন দশা শুধু জাহাঙ্গীর কিংবা তার ছেলে ফয়সালের নয়, চট্টগ্রাম বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ছোট-বড় সব নেতাই এখন গ্রেফতার ও মামলার আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান নগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি। গত এক মাসে শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন এই যুবদল নেতা। নগর বিএনপি ও যুবদল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বায়েজীদ থানা যুবদল নেতা মাহবুব উদ্দিন, ডাবলমুরিং থানা বিএনপি নেতা মো. ইলিয়াছ ও তার ভাই। ৫ দিন আগে গ্রেফতার করা হয় আকবর শাহ থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস ছাত্তার সেলিম, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া গোলাপসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে। এর আগে নিজের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুকে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নাশকতা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে মামলা দায়ের হয়েছে। কয়েকজনকে আবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

এদিকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর থেকে শুরু করে প্রথম সারির একেকজন নেতার বিরুদ্ধে গড়ে ডজনের ওপর মামলা রয়েছে। কারও কারও রয়েছে ৩০-এর অধিক মামলা। তেমনি একজন হচ্ছেন নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ। তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা রয়েছে। নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, ‘আমরা কেউই স্বস্তিতে নেই। হামলা-মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপির সাধারণ সমর্থক থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। যাদের মামলা আছে তাদের যেমন হয়রানি করা হচ্ছে, তেমনি যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’ নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে পুলিশ প্রশাসন। মূলত পুলিশকে এ কাজে ব্যবহার করছে সরকারি দল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর