বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বরিশালের শাপলা বিল হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালের শাপলা বিল হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র

অবশেষে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বরিশালের বর্ণিল শাপলার বিলকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বরিশালের বিভাগীয় এবং জেলা প্রশাসন উন্নয়নমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, শাপলার বিল দেখার জন্য বরিশাল থেকে আলাদা একটি পরিবহন সার্ভিস চালু, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার ও সৌচাগার নির্মাণ ছাড়াও পর্যটকদের বিল ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য নৌকার মাঝিদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশলার বিলের সৌন্দর্য এবং পর্যটনের অফুরন্ত-অপার সম্ভাবনার বিষয়টি সরকারিভাবে জেলা ব্র্যান্ডিংয়েও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এদিকে শাপলার বিলের অপার সৌন্দর্যের কথা শুনে গত শুক্রবার ভোরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাতলার শাপলার বিল পরিদর্শনে যান নবাগত বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ  দাস। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, শাপলার বিলের সৌন্দর্য অসাধারণ। এই অপরূপ সৌন্দর্যের বিষয়টি বেশি বেশি প্রচারের মাধ্যমে দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ এবং আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি আরও জানান, শাপলার বিলকে সরকারিভাবে একটি পর্যটন কেন্দ্র করার জন্য বিষয়টি পর্যটন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরে আনবেন। তাদের মনযোগ আকর্ষণ করে শাপলার বিলকে সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্রের স্বীকৃতি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য, বরিশালের উজিরপুর, আগৈলঝাড়া ও বানারীপাড়া এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলার অন্তত ৭০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। এর বেশিরভাগই বর্ষার ৬ মাস ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে থাকে। পর্যবেক্ষকদের মতে,  বরিশালের উজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত সাতলার বিলাঞ্চলে ফুটে রয়েছে অসংখ্য লাল, সাদা আর বেগুনি রঙের শাপলা ফুল। কাছ থেকে দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন ডানা মেলে সাজিয়ে রেখেছে বিলাঞ্চল। প্রতিনিয়ত শাপলা বিলের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ। তারা এসে বিলের মধ্যে নৌকায় ঘুরে বেড়ান, আনন্দ করেন, ছবি-সেলফি তোলেন, কেউ আবার ভিডিও কল দিয়ে নিকটজনদের শাপলার সৌন্দর্য দেখান। স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, শাপলা ফুল মূলত রাতের আঁধারে ফোটে। ভোরের মিষ্টি আবহাওয়ায় ফুলগুলো পুরোপুরি প্রস্ফূটিত হয়। রোদ প্রখর হলে আস্তে আস্তে ফুলগুলো বুজে যায়। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শাপলা ফুলের সমারোহ দেখা যায়। মো. মিজান নামে স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, শাপলা ফুল সব চেয়ে বেশি ফোটে ভাদ্র-আশ্বিন-কার্তিক মাসে। এরপর শাপলাগুলো আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর