শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রাথমিক শিক্ষক পদায়ন নিয়ে ত্রিমুখী অস্থিরতা

খুলনায় নেতাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে পদায়ন নিয়ে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে খুলনা সদর ও নয় উপজেলায় ২৫১ জন শিক্ষকের পদায়ন নিয়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা, অফিস কর্মচারী ও শিক্ষা কর্মকর্তারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

এর মধ্যে ২৩ জন শিক্ষকের বদলিতে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের সুপারিশ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সংসদ সদস্যকে সামনে রেখে শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা মোটা অঙ্কের টাকায় বদলি বাণিজ্য করেছেন। জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে খুলনায় ২৫১ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে পদায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনায় শিক্ষক পদায়নে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ব দেওয়া হলেও খুলনা সদর থানা অফিসে এই বদলি নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষক নেতাদের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে অর্থের বিনিময়ে খুলনা সদরের ২৩ জন শিক্ষককে তাদের পছন্দমতো বিদ্যালয়ে রেখে নাম চূড়ান্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই তালিকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে দিয়ে ওই তালিকার বিষয়ে সুপারিশ করানো হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, শিক্ষক নেতারা ওই তালিকা নিয়ে রাতে আমার বাড়িতে এলে আমি তা গ্রহণ করিনি। পরে ওই তালিকা তারা আমার অফিসে দিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এসবের পেছনে শিক্ষকদের পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষা কর্মকর্তাও রয়েছেন। জানা যায়, একই সঙ্গে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকের পদায়ন নিয়েও শিক্ষক সমিতির নেতা, অফিস কর্মচারী ও শিক্ষা কর্মকর্তারা পরস্পরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আর্থিক লেনদেন ও সুপারিশে কয়েকজনকে সুবিধা দিতে পদায়নকৃত অন্য শিক্ষকরা তাদের পছন্দমতো বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই তালিকার সবাইকে চিনি না। আমি মুঠোফোনে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের পদায়ন দিতে বলেছি। কিন্তু ওই শিক্ষকদের কাছ থেকে কেউ অর্থ নিয়েছে কিনা জানি না।’ এদিকে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর