শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধান বিরোধী : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘বাকশালেরই প্রেতাত্মা’ বলে মনে করে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মুখ বন্ধ করতে ও গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে ফেলতে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হলো। এটি সংবিধানবিরোধী একটি আইন। কারণ, এটি সংবিধানের মূল চেতনা, বিশেষ করে মুক্ত চিন্তা, বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ  মৌলিক  অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। এ কালো আইন বাকশালেরই প্রেতাত্মা। আমি এ কালাকানুনের বিরুদ্ধে দেশবাসীসহ সব গণমাধ্যমের কর্মী ও মুক্তচিন্তার মানুষদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’ গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, তৈমুর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ। রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গণমাধ্যমসহ যে কোনো মাধ্যমেই যাতে দুর্নীতির কোনো খবর প্রকাশিত না হয় সেজন্য এ ন্যক্কারজনক কালো আইন তৈরি করা হয়েছে। এ আইনের কারণে দেশের মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ল। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন বিনা ওয়ারেন্টে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের অফিসে ঢুকে তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালাতে পারবে, কম্পিউটারসহ সব কিছু জব্দ করতে পারবে। যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে।  সাধারণ মানুষও এ কালো আইনের থাবা থেকে রেহাই পাবে না।’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে পাঁচ দিনের রিমান্ড, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাসায় হামলা ও  স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর বাসভবনে পুলিশি তল্লাশির নিন্দা জানান তিনি। নাটোর  স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ সাতজনকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কয়েকটি গণমাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সংবাদকে ‘আজগুবি’ বলে অভিহিত করে এ ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানান রিজভী আহমেদ।

সর্বশেষ খবর