শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাবি ছাত্রলীগের দাবি

মারধর করা হয়নি পালাতে গিয়ে আহত হয় সেই শিক্ষার্থী

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এ সময় দাবি করা হয়, ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়নি। সে মাদক সেবন করছিল। ছাত্রলীগ কর্মীদের দেখে পালানোর চেষ্টা করার সময় সে পড়ে গিয়ে আহত হয়।

উল্লেখ্য, গত রবিবার মারধরের শিকার শিক্ষার্থী আবদুর রহমান জানিয়েছিলেন, রাবি ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব, সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ হিল কাফি ও কর্মী শুভ্র  দেব তার ওপর চড়াও হয় এবং তাকে মাদকসেবী প্রমাণ করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমাকে স্ট্যাম্প ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। তারা আমার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। তখন বলা হয় গাঁজা সেবনের কথা স্বীকার করতে হবে। স্বীকার না করলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভয়ে আমি স্বীকারোক্তি দেই। তারা সেটি ভিডিও করে। পরে তারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে চলে যায়।’ এ ব্যাপারে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, ‘গত শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলে এক মাদকসেবীকে আটকের পরিপ্রেক্ষিতে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। আবদুর রহমান নামের সেই শিক্ষার্থীকে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করেনি। মাদকসেবন করে ছাদ থেকে পালানোর সময় সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ওই রাতে আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগকে জানায়, হলের ছাদে বহিরাগত কয়েকজন ছাত্রদের নিয়ে মাদকসেবন করছে। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্লক ‘ক’ এর ছাদে যায়। সেখানে দেখতে পায় যে, ‘খ’ ব্লকের ছাদে কয়েকজন মাদক সেবন করছে। মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদেরকে নিচে নামতে বললে মাদক সেবনকারীরা ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং বহিরাগত একজন তার সাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত আবদুর রহমান সিঁড়ি দিয়ে পালাতে গিয়ে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমতাবস্থায় মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে অতিথি কক্ষে নিয়ে আসে। তার কাছে জানতে পারে, সে বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে হলের ছাদে মাদকসেবন করছিল। সেই সময় বিষয়টি হল প্রশাসন ও হলের গেট পুলিশকে অবহিত করা হয়। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বলা হয় তাকে আপাতত পুলিশে না দিয়ে চিকিৎসা করাতে। সেই সময় হল শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায় ও হল প্রাধ্যক্ষ সেখানে আসেন এবং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মাদকাসক্ত আবদুর রহমানকে হল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।’ সংবাদ সম্মেলনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন, মাহফুজ আল-আমিন ছাড়াও ঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ হিল গালিব, আবদুল্লাহ হিল কাফি ও শুভ্র দেব উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর