বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কৃষক লীগ নেতার সেই কথা আর রইল না গোপন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিমউদ্দিন আগেরকার দুই স্ত্রীর কথা গোপন রেখে তৃতীয় বিয়ে করেছিলেন। তৃতীয় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার মামলা করায় গোপন কথাটি আর গোপন রাখা যায়নি। এতে করে নারায়ণগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নাজিম উদ্দিন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তার তৃতীয় স্ত্রী সুমাইয়া সাইনবোর্ড ডেমরা এলাকার সেতুবন্ধন টাওয়ারে পরিবারের সঙ্গে বাস করেন। সুমাইয়া বলেন, নাজিম তাকে দুই বছর আগে বিয়ে করে ভূইগড়ের নিজ বাড়িতে তোলেন। প্রতি রাতেই মদ্যপ অবস্থায় সুমাইয়াকে মারধর করতেন। এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সুমাইয়ার কাছে। ইতিমধ্যে তার আগের দুই বিয়ের খবরও জানাজানি হয়ে যায়। তখন প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নির্যাতন থেকেও রেহাই মেলেনি সুমাইয়ার। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে ২১ মাস বয়সী সন্তান নাজিলা আক্তার মিতুসহ সুমাইয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন নাজিম উদ্দিন। সুমাইয়া তার সেতুবন্ধন টাওয়ারে মায়ের বাসায় গিয়ে ওঠেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাজিম উদ্দিন তার দুই স্ত্রী মনোয়ারা ও শামীম আরাসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে সুমাইয়ার মায়ের বাসায় গিয়ে অস্ত্রের মুখে শিশু সন্তান নাজিলা আক্তার মিতুকে তুলে নিয়ে আসেন। সন্তান উদ্ধারের জন্য সুমাইয়া আদালতে মামলা করলে সোমবার রাত ৮টায় দিকে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিশুটিকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার মায়ের হেফাজতে তুলে দেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর