শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পেটাল বর্তমানরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে বেধড়ক পিটিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার বর্তমান নেতা-কর্মীরা। বুধবার রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। রুহুল সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং এর আগে ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের লিফটে ওঠার সময় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের বড় ভাইয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগা নিয়ে রুহুলের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাটি জানার পর রুহুলকে ঢাবি শাখার নেতা-কর্মীরা মারধর করতে করতে আট তলা থেকে নিচ তলায় নিয়ে আসেন। এই ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে মেডিকেলে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করে। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের মারধরে আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মীও আহত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং রুহুলকে মেডিকেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

এ সময় রুহুল আমিন বলেন, ‘সঞ্জিত নিজেই আমাকে মারতে মারতে ৮ তলা থেকে নিচে নিয়ে আসে। মারার পাশাপাশি আমাকে শিবির বলে অপবাদ দিতে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত এর বিচার না হবে ততক্ষণ আমি খাব না, কেউ যদি আমাকে জোর করে তবে আমি আত্মহত্যা করব। এই কমিটির দ্বারা আমি যে অপমানের শিকার হয়েছি তা হাজার বার জন্ম নিলেও ভুলব না।’

সঞ্জিত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার অন্তঃসত্ত্বা ভাবীকেসহ আমার ভাই মেডিকেলে গিয়েছিল। সেখানে লিফটে ওঠার সময় রুহুল আমার ভাইয়ের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। সে আমার ভাবীর গায়েও হাত দিয়েছে। পরে পোলাপানের সঙ্গে নাকি ঝামেলা হয়েছে। তখন আমি নিজে গিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে এসেছি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুখঃজনক। একজন সিনিয়র নেতার ওপর এরকম হামলা অবশ্যই নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক। আমরা ওনাকে বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে। আমরা তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর