মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা ভারতের অর্থমন্ত্রীর

বৈঠক আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.৮ অর্জন, গড় আয়ু ৭২ বছরে উত্তীর্ণসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু দ্রুত অগ্রগতিশীল খাতের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল দুপুরে ভারতের নয়াদিল্লিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ভারত সফররত বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় ভারতের অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গতকাল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্যানিটেশন কনভেনশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ভারত সফর করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অরুণ জেটলি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের বিষয়টিতেও তিনি আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের ক্রীড়াঙ্গন তখনই উন্নত হতে থাকে যখন সেই দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হতে থাকে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অবশ্যই যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে আরও বেশি জোর দিতে হবে। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সঙ্গে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রকৃতপক্ষে ভালো সম্পর্ক, বিশ্বাস, পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তৃতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই লাইন অফ ক্রেডিটের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর বিষয়ও উল্লেখ করে তিনি প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য অরুণ জেটলিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমনকি যদি ভারতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পায় বাংলাদেশে তা হ্রাস পায়। ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল ও সড়কের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দর ও সুদৃঢ়ভাবে যোগাযোগ স্থাপিত, এই ব্যবস্থার সুফল মিলবে তখনই যখন দুই দেশের মানুষই আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সীমানাও ভারতের মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই। পরিকল্পনামন্ত্রী এই বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করে বলেন, ভারত এই দীর্ঘমেয়াদি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে এবং এই সমস্যা সমাধান করতে মিয়ানমারের প্রতি কার্যকরী চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত শর্তহীন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে নিরাপদ, টেকসই ও মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশের আশা। এ ছাড়া ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নদীগুলোর ভারতীয় অংশে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার জলখাতকে আরও সমৃদ্ধকরণসহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

সর্বশেষ খবর