বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘ইউএস-বাংলা বিমান কর্তৃপক্ষের ত্রুটি ছিল না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ চট্টগ্রামের শাহ আমানত নোজ ল্যান্ডিং গিয়ারে না নামায় জরুরি অবতরণ করার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো ত্রুটি ছিল না। বরং পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের স্বাধীন কমিশন এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপের (এএআইজি) ও ইউএস-বাংলার নিজস্ব কমিটি কেন নোজ গিয়ার নামছিল না তার তদন্ত করছে। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ, পাইলট ইন কমান্ড জাকারিয়া সবুজ, ফার্স্ট অফিসার সাঈদ বিন রউফ উপস্থিত ছিলেন। ইমরান আসিফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিএস-১৪১ ফ্লাইটটির যে নোজ গিয়ার নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সেই এয়ারক্রাফটের নোজ গিয়ার ওভার হোলিং বিশ্বের কয়েকটি নির্দিষ্ট ওভার হোলিং শপে করাতে হয়। এখানে অপারেটরদের কোনো ভূমিকা থাকে না। তিনি বলেন, ঘটনায় আক্রান্ত এয়ারক্রাফটের নোজ গিয়ারের সাইকেল থাকে ৭৫ হাজার। প্রতি ১৮ হাজার সাইকেলের পর নোজ গিয়ার ওভার হোলিং করাতে হয়। ওভার হোলিংয়ের পর এয়ারক্রাফটির নোজ গিয়ারের সাইকেল শেষ হয়েছে মাত্র ৭ হাজার। ১১ হাজার সাইকেল অবশিষ্ট উক্ত এয়ারক্রাফটির নোজ গিয়ারের। নোজ গিয়ারটি কেন সেদিন বের হচ্ছিল না তা তদন্তাধীন। ইউএস-বাংলার অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। এ ছাড়া আইকা ও সিভিল এভিয়েশনের স্বাধীন কমিশন এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপের (এএআইজি) তদন্ত করছে। তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার এয়ারক্রাফট উড্ডয়নের আগে তিন ধাপে টেকনিক্যাল চেকিং করা হয়। বিদেশি প্রকৌশলীরা প্রতি রাতে এয়ারক্রাফট রুটিনমাফিক চেক করেন।

উড্ডয়নের আগে ইঞ্জিনিয়ার আবার তা পরীক্ষা করেন। তারা ফ্লাইট উড্ডয়নের উপযোগী সার্টিফিকেট প্রদানের পরে সংশ্লিষ্ট ক্যাপ্টেন আবার এয়ারক্রাফটির সক্ষমতা রি-চেক করেন। চেক-ক্রস চেকিংয়ের পরই একটি ফ্লাইট ডিপার্টচারের অনুমতি লাভ করে। ইমরান আসিফ বলেন, এই এয়ারক্রাফটি মেরামত করবে বোয়িং কোম্পানি। তারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে গেছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত দিকগুলো চিহ্নিত করবে। পরে আমাদের অর্ডার করার পরে বোয়িং কোম্পানি চট্টগ্রামে ১০ দিনের মতো সময় নিয়ে মেরামতের কাজ করবে। প্রাথমিক মেরামতের পর সেখান থেকে এয়ারক্রাফটি হায়দরাবাদে নিয়ে যাবে বোয়িং কোম্পানি। সেখানে তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর