বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

৬৯ শতাংশ মানুষ উন্নত স্যানিটেশনের আওতায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

শহর এলাকায় শতভাগ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে। গ্রাম এলাকায় এর আওতায় রয়েছে ৯৮ শতাংশ মানুষ। শহর আর গ্রাম মিলিয়ে স্যানিটেশনের আওতায় রয়েছে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ। আর ৬৯ শতাংশ মানুষ উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় এসেছে। এটি উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারের জাতীয় গড়। বর্তমানে এক শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে। এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ বছর স্যানিটেশন মাসের প্রতিপাদ্য, ‘টেকসই উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন।’ স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম মোক্তাদির। বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ। ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, গ্রামীণ লোকজনকে প্রাধান্য দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এ পরিকল্পনা দেশের বড় বড় সিটি করপোরেশনে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের বিশ্বাস, নির্ধারিত সময়ের আগেই স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব।

 মূল প্রবন্ধে মোহাম্মদ গোলাম মোক্তাদির বলেন, খোলা স্থানে মলত্যাগের হার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং স্বাস্থ্যসম্মত হাইজিন সুবিধা রয়েছে ৪০ শতাংশের। নিরাপদ স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে ৩১ শতাংশ গ্রামীণ জনগণ। তিনি বলেন, বর্তমানে উন্নত স্যানিটেশন কভারেজ বৃদ্ধির হার ১.০৮ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই হার ২.৬ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর