বায়োসায়েন্স বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বায়োটেকনোলোজি ইনস্টিটিউট নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একটি ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। চীনের হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ইনস্টিউটটি পরিচলিত হবে। ইতিমধ্যে ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাবির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রাবির সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সোবহান জানান, গত ৪ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার নেতৃত্বে জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বায়োলজিক্যাল ইনস্টিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এফ এম আলী হায়দার ও সিরাজগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হেনরি ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জান্নাত আরা হেনরিসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল চীনের হুয়াজং বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন। এ সময়ে রাবির বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি, ‘বায়োলোজি, উদ্যানতত্ত্ব, ফসল সংরক্ষণ, অ্যাকুয়াকালচার, পোস্ট হারভেস্ট প্রসেসিং টেকনোলজি ও কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা, যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ ও কৃষি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সম্মেলনের আয়োজন করাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫টি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জিং ডেং এবং রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সোবহান স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এর আগে ২০১২ সালে চীনা প্রতিনিধি দল রাবিতে আসেন। তখন উল্লিখিত বিষয়ে গবেষণাসহ ১২ জন পিএইডি গবেষক পাঠানোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তবে এই স্মারকচুক্তির পর সেই সুযোগ আরও বাড়বে।
বিশেষ করে রাবির মেধাবী শিক্ষার্থীরা সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন গবেষণার সুযোগ পাবেন তেমনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাবিতে যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবেন। এতে উত্তরাঞ্চলের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরাও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানান উপাচার্য। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রাবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, ড. চৌধুরী জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক লুত্ফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
