সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শহিদুল আলমকে কেন জামিন নয় জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি কেরেছে হাই কোর্ট। গতকাল জামিন চেয়ে শহিদুল আলমের করা রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে রুরেল জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।

আদালতে শহিদুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরুল্লাহ। শহিদুলের অপর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহিদুল আলমকে আদালত অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়নি। এক সপ্তাহের জন্য রুল দিয়েছে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘উনি ফেসবুকে যে লাইভ করেছেন। যেটা আল জাজিরাতে প্রচার হয়েছে, এটা কি বলা যাবে যে, উনার হয়ে অন্য কেউ করেছে? এগুলো তো উনার লিখিত বিবৃতি না, উনি মৌখিকভাবে বক্তব্য দিয়েছেন এবং সম্প্রচার হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’ শহিদুল যেসব বক্তব্য লাইভ ভিডিওতে বলেছেন, তা অবশ্যই আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার আওতায় পড়ে— মন্তব্য করে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এই যুক্তি দেখিয়ে আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করেছি।’

অন্যদিকে সারা হোসেন বলেন, ‘মূল কথা হলো, শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে- তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ পুলিশ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ আগস্ট রাতে দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে গেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শহিদুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন অভিযোগ করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতেও তার জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ১৬ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবেদন করেন শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর