সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাব কেটে যাওয়ায় এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়ায় আবহাওয়া পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। ফলে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সমুদ্র বন্দর থেকে তিন নম্বর সতর্ক সঙ্কেত নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রায় ৬ দিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে এখন কর্মকাণ্ডে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল দুপুর থেকে লাইটার জাহাজে খোলাপণ্য খালাস শুরু হয়েছে। তবে জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। স্বাভাবিকের চেয়ে কম হ্যান্ডলিং করা হলেও গত ৬ দিন কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম চলেছে। এই কয়েকদিনে চট্টগ্রাম বন্দর জেটি ও বহির্নোঙরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজগুলো থেকে কনটেইনার ও খোলা পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে দেখা দেওয়া জাহাজ জট সামলাতে আগামী অন্তত এক মাস সময় লাগবে বলেও আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দেড় হাজারের মতো লাইটারেজ জাহাজ নিয়োজিত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে সাগর অত্যন্ত উত্তাল থাকায় গত ৬ দিন ধরে বহির্নোঙরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এই ৬ দিনে ৫০টিরও বেশি মাদার ভ্যাসেলের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এসব জাহাজ এতদিন বহির্নোঙরে অলস বসেছিল। গতকাল থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকায় পুনরায় পণ্যখালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘এখনো আবহাওয়া পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তবে কিছুটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বহির্নোঙরে পণ্যখালাস শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বন্দরের জেটিতেও কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য ও কনটেইনার খালাসের গতি ব্যাহত হওয়ায় অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভয়াবহ জাহাজ জটের মতো কোনো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি।’ 

সর্বশেষ খবর