সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হাই কোর্টের রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

হাতিরঝিলে নকশাবহির্ভূত স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের মূল নকশার বাইরে থাকা স্থাপনা নিয়ে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে মূল নকশার বাইরে থাকা স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার বা অপসারণের যে নির্দেশ হাই কোর্ট দিয়েছিল, তার ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত।

গতকাল হাতিরঝিল এলাকার ১২ ব্যবসায়ীর করা লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, আবেদনকারী ১২ জন ব্যবসায়ী রাজউক থেকে বরাদ্দ নিয়ে হাতিরঝিল এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন। ভাড়া-পজেশন বাবদ তাদের কাছ থেকে ১০-১৫ কোটি টাকা করে নিয়েছে রাজউক। তিনি বলেন, মনজিল মোরসেদ আমাদের পক্ষভুক্ত না করেই হাই কোর্ট থেকে নির্দেশনা নিয়েছিলেন। পরে যখন আদেশটি জানতে পারলাম, তখন রাজউকের অ্যালটমেন্ট অর্ডার ও ভাড়ার কাগজপত্র দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে আমরা লিভ টু আপিল করেছি। চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা দিয়েছিল, সেটি কন্টিনিউ করেছে আপিল বিভাগ। প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ‘জনস্বার্থে’ এই রিট আবেদন করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পের ‘লে-আউট প্ল্যানের’ বাইরে থাকা স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে ভেঙে অপসারণের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রজেক্টের ‘লে-আউট প্ল্যানের’ বাইরে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে এবং ‘লে-আউট প্ল্যান’ অনুযায়ী হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রজেক্ট রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয় আদালত। ওই আদেশর পর হাতিরঝিলের ১২ ব্যবসায়ী রিট মামলাটিতে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদনের পাশাপাশি হাই কোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন করেন। চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা দিয়ে লিভ টু আপিল করতে বলে। গতকাল আপিল বিভাগ সেই লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়েই দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তির পাশাপাশি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়।

সর্বশেষ খবর